পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬২ বাংলায় ভ্রমণ করিয়াছিলেন । এই জন্য এই স্থান লাখবাগ নামেও অভিহিত হয়। ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে বাংলা সরকার কর্তৃক পলাশীর মাঠে শেষ আম্রবৃক্ষটির ৬০৭০ হাত দক্ষিণ-পূর্ব কোণে গ্রেনাইট প্রস্তরনিৰ্ম্মিত একটি ক্ষুদ্র বিজয়স্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে লর্ড কার্জন উহ! ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া তৎস্থলে একটি অপেক্ষাকৃত বড় স্তম্ভ ও তাহার নিকটে দর্শকগণের বিশ্রামের জন্য একটি ডাকবাংলা নিৰ্ম্মাণ করেন। পলাশী হইতে ৪৷৫ মাইল এবং পরের স্টেশন রেজীনগরের নিকটে অবস্থিত ফরিদপুর গ্রামের ফরিদতলা নামক স্থানে ফরিদ সাহেব নামক জনৈক মুসলমান সাধুর সম,ধির নিকট সিরাজের বিশ্বস্ত সেনাপতি মীরমদনের সমাধি অবস্থিত। কথিত আছে, মীরমদনের ইচ্ছানুসারেই তাহাকে ফরিদ সাহেবের পবিত্র সমাধি ভবনে সমাস্থিত করা হয় । 灣_ মীরমদনের সমাধি, ফরিদতল| পলাশীর যুদ্ধ এবং সিরাজদ্দৌলার পরাজয় সম্বন্ধে তৎকালীন গ্রাম্য কবিগণের রচিত গান আজিও পলাশীর নিকটবৰ্ত্তী গ্রামের লোকের মুখে শুনিতে পাওয়া যায় . “কি হলোরে জান, -- পলাশী ময়দানে নবাব হারাল পরাণ । তীর পড়ে বাকে বাকে, গুলিপড়ে রয়ে, একলা মীরমদন বল কত নেবে সয়ে । ছোট ছোট তেলেঙ্গাগুলি লাল কুৰ্ত্তি গায়, হাটু গেড়ে মারছে তীর মীর মদনের গায়। কি হলোরে জান, পলাশীর ময়দানে নবাব হারাল পরাণ । নবাব কাদে সিপুই কাদে আর কাদে হাতী, কলকেতাতে বসে কাদে মোহনলালের বেটী ।