পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○oやり বাংলায় ভ্রমণ সেকন্দর লোদী হুসেন শাহের রাজ্য আক্রমণ করেন, কিন্তু শেষে সন্ধি স্থাপন করিয়া র্তাহাকে ফিরিয়া যাইতে হইয়াছিল। ইহার পর হুসেন শাহ ত্রিপুরা রাজ্য অধিকারের চেষ্টা করিয়াছিলেন ; কিন্তু মহারাজ ধন্যমাণিক্যের বীর সেনাপতি চয়চাগের নিকট র্তাহার সেনাপতি বার বার তিনটি অভিযানে পরাজিত হন ; চতুর্থবার সেনাপতি গেীর মল্লিকের সহযোগিতায় স্বয়ং আক্রমণ করিয়া ত্রিপুরারাজ্যের কিয়দংশ অধিকার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। (আসাম বাংলা রেলপথের আগরতলা স্টেশন দ্রষ্টব্য।) হুসেন শাহের রাজত্ব কালে শ্রীচৈতন্তদেব বৃন্দাবন যাইবার পথে গৌড়ের নিকট রামকেলী গ্রামে অবস্থান করিয়াছিলেন। ২৭ বৎসর রাজত্ব করিয়া বহুরূপে গৌড়ের সমৃদ্ধি বৰ্দ্ধন করিয়া ১৫১৮ খৃষ্টাব্দে হুসেনশাহ পরলোক গমন করিলে তৎপুত্র নাসিরউদ্দীন নসরৎ শাহ, সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৫২৬ খৃষ্টাব্দে পাণিপথের প্রথম যুদ্ধে জয়ী হইয়া বাবর ^ 7 শ্ৰীচৈতষ্ঠদেবের বিশ্রামস্থল, রামকেলি সিংহাসন অধিকার করিলে বহু সন্ত্রান্ত আফগান গৌড়রাজ্যে আসিয়া নসরৎশাহের আশ্রয় গ্রহণ করেন। বাবর জৌনপুর জয় করিয়া বাংলা জয় করিতে অগ্রসর হইয়াছিলেন। কিন্তু বাংলা হইতে আফগানগণ লাঞ্জেল আক্রমণ করিলে তিনি নসরৎশাহের সহিত সন্ধি করিয়া ফিরিয়া যাইতে বাধ্য হন। নাসিরউদ্দীন নসরৎশাহের রাজ্যকালে গৌড়ের বারহুয়ারী বা সোনা মসজিদ, দাখিল বা দখল দরওয়াজ, কদমরসুল ও আলাউদ্দীন হুসেনশাহের সমাধি মন্দির প্রভৃতি নিৰ্ম্মিত হয়। হুসেনশাহের সমাধির ভিত্তি মাত্রই এখন অবশিষ্ট । গৌড়রাজ আলাউদ্দীন হুসেনশাহ ও তৎপুত্র নাসিরউদ্দীন নসরৎশাহের সাহায্যে ও উৎসাহে বাংলা সাহিত্যের প্রভূত উন্নতি সাধিত হইয়াছিল। হুসেনশাহ “শ্ৰীকৃষ্ণ বিজয়’ গ্রন্থের রচয়িতা মালাধর বস্তুকে “গুণরাজখী” উপাধি দান করেন। (পূৰ্ব্বভারত রেলপথের জোগ্রাম স্টেশন দ্রষ্টব্য)। ইহারই সময়ে ১৪৮১ খৃষ্টাব্দে বিজয় গুপ্তের ও ১৪৯৫ খৃষ্টাবে 20a - , a " .