পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ද් ෆ বাংলায় ভ্ৰমণ লাটভবন—গবর্ণমেণ্ট হাউসটি ১৮০২ খৃষ্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি কর্তৃক প্রায় তের লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিলাতের “ কেডেলস্টোন ” প্রাসাদের আদর্শে নিৰ্ম্মিত হয়। ইহা এরূপভাবে নিৰ্ম্মিত যে, যেদিক্ হইতেই বায়ু প্রবাহিত হউক না কেন ইহার প্রত্যেক কক্ষেই বাতাস পাওয়া যায়। পূৰ্ব্বে এই বাড়ীতে বড়লাট বাস করিতেন, ইহা এখন বাংলার শাসনকৰ্ত্তার বাসভবন। এই বাটতে সাধারণের প্রবেশাধিকার নাই । টিপু সুলতানের মসজিদ—ময়দানের উত্তর-পূৰ্ব্ব কোণে ধৰ্ম্মতলা স্টটের উপর যে সুন্দর মসজিদটি দেখিতে পাওয়া যায়, উহা টিপু সুলতানের মসজিদ নামে পরিচিত। টিপু সুলতানের পুত্র নবাবজাদা গোলাম মহম্মদ কর্তৃক ১৮৪২ খৃষ্টাব্দে ইহা নিৰ্ম্মিত হয়। টিপু সুলতান মসজিদের নিকটে চিত্তরঞ্জন এভিনিউর মোড়ে সার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের বৃহৎ ব্রোঞ্জ মূৰ্ত্তি স্থাপিত আছে। ল্যান্ডাউন মুৰ্ত্তির পাদপীঠ ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরী—ময়দানের উত্তরে এসপ্লানেড ট্রাম স্টেশনের নিকটেই ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরী নামক বৃহৎ সরকারী গ্রন্থাগার অবস্থিত। এত বড় গ্রস্থাগার ভারতবর্ষে আর নাই, ইহার পুস্তক সংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষের উপর। সৰ্ব্বসাধারণ ইহা ব্যবহার করিতে পারেন । - চৌরঙ্গী—ময়দানের পূর্বদিকে কলিকাতার সর্বাপেক্ষা সুসজ্জিত রাজপথ চৌরঙ্গী রোড অবস্থিত। প্রবাদ, বর্তমান কলিকাতার যখন সৃষ্টি হয় নাই, তখন এই অঞ্চলের