পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার রাজধানী কলিকাতা ©ማ দেশবন্ধুর চিতার উপর একটি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত সুন্দর স্মৃতিসৌধ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ইহা সম্পূর্ণ প্রাচ্য প্রথায় নিৰ্ম্মিত ও ৫৬ হাত উচ্চ। বাঙালী মাত্রেরই এই স্মৃতিসৌধটি দর্শন করা কৰ্ত্তব্য । কেওড়াতলার শ্মশানের দক্ষিণে মহিষুরের রাজার স্মৃতিসৌধ ও দেবমন্দির অপর একটি দ্রষ্টব্য বস্তু। মুন্দর উষ্ঠান মধ্যে অবস্থিত এই সৌধ ও মন্দিরটি দক্ষিণ ভারতীয় প্রথায় নিৰ্ম্মিত । - দেশবন্ধু স্মৃতিসৌধ (১৫) ঢাকুরিয়া হ্রদ—কয়েক বৎসর হইল কলিকাতার দক্ষিণ অঞ্চলে ঢাকুরিয়া পল্লীর নিকটে কলিকাতার ইম্প্রভমেণ্ট ট্রাস্ট কয়েকটি কৃত্রিম হ্রদ প্রস্তুত করিয়াছেন। পূর্বে এই অঞ্চল জলাভূমি ছিল। বহু অর্থব্যয়ে এই স্থানকে এখন মনোরম প্রমোদ ভ্রমণের স্থানে পরিণত করা হইয়াছে। প্রধান হ্রদের তীরে একটি যুরোপীয় ও একটি ভারতীয় নৌকা-বিহার সমিতি আছে। হ্রদের চতুদিকে একটি প্রশস্ত রাজপথ ও কতকগুলি দূৰ্ব্বাদল-আচ্ছাদিত মাঠ প্রস্তুত করা হইয়াছে। প্রত্যহ বৈকালে এই স্থানে বায়ু সেবনাৰ্থী বহু নরনারীর সমাগম হয়। হ্রদের মধ্যে কয়েকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ আছে এবং উহাদের একটির উপর একটি মুন্দর মসজিদ আছে। একটি সেতুর উপর দিয়া এই দ্বীপে যাওয়া যায়। সম্প্রতি প্রধান হ্রদের দক্ষিণতটে জাপানীরা একটি বৌদ্ধমন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। এই মন্দিরটিও হ্রদ অঞ্চলের একটি দ্রষ্টব্য বস্তু। (১৬) হাওড়া—ইহা গঙ্গার পশ্চিমতীরে কলিকাতা শহরের ঠিক বিপরীতদিকে অবস্থিত। ইহা একটি স্বতন্ত্র জেলা হইলেও এবং এখানে পৃথক মিউনিসিপ্যালিটি থাকা সত্ত্বেও ইহাকে কলকাতার অংশ বলিয়া গণ্য করা যাইতে পারে। হাওড়ার পুল নামে পরিচিত সুবিখ্যাত ভাসমান সেতু দ্বারা ইহা কলিকাতার সহিত সংযুক্ত।