পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার রাজধানী কলিকাতা - 8 S জজপ আর একটি মূৰ্ত্তি নিৰ্মাণ করাইয়া আসল বিগ্রহের পরিবর্তে রাজাকে উহা প্রদান : করেন। রাজা তাহা বুঝিতে পারেন নাই। আসল মদনমোহন মিত্র মহাশয়ের গৃহেই । থাকিয়া যান। সিদ্ধেশ্বরী কালীর সম্বন্ধে জনশ্রুতি যে ইহা একজন সন্ন্যাসীর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পূর্বে এখানে নরবলি হইত। ১৭৩০ খৃষ্টাব্দে গোবিন্দরাম মিত্র ওরফে । “কাল জমিদার” ইহার জন্য একটি সু-উচ্চ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন। উহা অক্টারলোনী মনুমেন্ট অপেক্ষাও উচ্চ ছিল বলিয়া কথিত। ইংরেজের এই মন্দিরকে “ব্ল্যাক পাগোড” বা গোবিন্দরাম মিত্রের প্যাগোডা বলিতেন। ১৮২০ খৃষ্টাব্দের ভূমিকম্পে এই মন্দির পড়িয়া গেলে গোবিন্দরামের বংশধর অভয়চন্দ্র মিত্র বর্তমান মন্দির নিৰ্ম্মাণ করান। (ঙ) চিৎপুরে চিত্তেশ্বর সর্বমঙ্গলার মন্দির, (চ) টালার জলের ট্যাঙ্ক, (ছ) বেল- , গেছিয়ায় দিগম্বর জৈন মন্দির, ভেটারিনারী কলেজ ও কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজ। ; (জ) শ্বামবাজারে দেশবন্ধু পার্ক। (ঝ) এজরা স্টটে পার্শীদের অগ্নিমন্দির। (এ) মুর্গিহাটায় ইহুদীদের সিনাগগ বা গির্জা। (ট) রেড রোডে অবস্থিত লর্ড রবার্টস, হাডিং, ' কিচনার, ল্যান ডাউন, মিন্টে প্রভৃতির প্রতিমূৰ্ত্তিগুলি দেখিবার মত। অশ্বারাঢ় লর্ড রবার্টসের মূৰ্ত্তিটি আফগান যুদ্ধে অধিকৃত ১৪টি কামান হইতে ঢালাই করা, লর্ড রবার্টস আফগানদের মেষচৰ্ম্মের কোট পরিহিত। মূৰ্ত্তির পাদপীঠের চারিদিকে সৈনিকগণের মূৰ্ত্তি উংকীর্ণ আছে। ইহার পশ্চাদিকে যুদ্ধের ও সম্মুখভাগে যুদ্ধজয়ের যে চিত্র আছে তাহ ভাস্কৰ্য্যশিল্পের অপূৰ্ব্ব নিদর্শন। (ঠ) চৌরঙ্গী ও পার্ক স্টটের মোড়ে আউট্রামের মূৰ্ত্তি। ইহা গত শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত পৃথিবীর সর্বাঙ্গমুন্দর অশ্বারা মূৰ্ত্তিগুলির অন্যতম। ভাস্করের নাম জন হেনী ফোলী, ইহার নিৰ্ম্মিত অনেক মূৰ্ত্তি বিলাতে আছে। (ড) বালীগঞ্জে মহানিৰ্ব্বাণ মঠ। (ঢ) ভবানীপুরে আশুতোষ ইনস্টটুটু ও চিত্তরঞ্জন সেবাসদন । (৭) লোয়ার সার্কলার রোডে মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমাধি। (৩) আলিপুরে হর্টিকালচারাল গার্ডেন। (থ) টালীগঞ্জে ঘোড়দৌড়ের মাঠ ও রাসমন্দির। (দ) ঢাকুরিয়ায় যোধপুর ক্লাব। (ধ) পার্ক স্টটের সমাধিক্ষেত্রে হিন্দু স্টুয়ার্টের স্মৃতি-সৌধ ইত্যাদি। স্টুয়ার্ট সাহেব প্রথমে সৈনিক বিভাগে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাহার পুরা নাম ছিল মেজর জেনারেল চার্লস স্টুয়ার্ট। আয়ারল্যাণ্ডের ডাবলিন শহর তাহার জন্মস্থান। হিন্দু ধর্মের উপর তাহার প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ছিল। তিনি কার্য হইতে অবসর গ্রহণ করিবার পর প্রত্যহ গঙ্গাস্নান করিতেন ও ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণের হ্যায় সাত্ত্বিকভাবে জীবন যাপন করিতেন। র্তাহার সমাধির উপর স্মৃতি-সৌধটি হিন্দু মন্দিরের প্রথায় নিৰ্ম্মিত। এই সকল ছাড়া বাংলার গৌরব বিখ্যাত মনীষিগণ যে সকল স্থানে বাস করিতেন তাহাও শ্রদ্ধার সহিত দর্শনীয়। রাজা রামমোহন রায় ৮৫ নং আমহাষ্ট স্টটে বাস করিতেন। এখানে মৰ্ম্মর-ফলক স্থাপিত আছে। ইহার পূৰ্ব্বে তিনি ১১৩ নং আপার সাকুলার রোড ভবনে বাস করিতেন। বর্তমানে এখানে পুলিশের থানা অবস্থিত। -