পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(१२ বাংলায় ভ্রমণ এখনও অভগ্ন আছে, এমন কি অনেকগুলি কক্ষ পর্য্যন্ত বিদ্যমান আছে । বৰ্ত্তমানে নানা প্রকার তৃণগুল্ম প্রভৃতির দ্বারা সমাচ্ছন্ন হওয়ায় ইহা সৰ্প প্রভৃতির আবাসভূমিতে পরিণত হইয়াছে। দুর্গের মধ্যস্থলে উচ্চ বুরুজের উপর একটি জাহাজের পথ নির্দেশক স্তম্ভ বর্তমান আছে। এখনও বড় বড় তুইটি কামান এই তুর্গের মধ্যে পড়িয়া রহিয়াছে। ফলতায় অতি বিস্তৃত ধানের কারবার আছে। সম্প্রতি ইহার নিকটে কয়েকটি ধান কল বসিয়াছে । গঙ্গার ভাঙ্গন হইতে রক্ষা করিবার জন্য কলিকাতার হ্যায় ফলত বন্দরেও পাকা পোস্ত বাধান আছে । ইহা বাংলা সরকারের খাস মহালের অন্তর্গত । ফলতার নীচে গঙ্গার বিস্তৃতি প্ৰায় দুই মাইল । এই স্থানের দৃশ্যও যেরূপ সুন্দর, স্থানটিও তেমনি স্বাস্থ্যকর । ফলতার বন্দর পরলোকগত বিজ্ঞানাচাৰ্য্য স্তর জগদীশ চন্দ্র বসু মহাশয়ের “মায়াপুরী” নামক কানন ফলতার অন্যতম দ্রষ্টব্য। এই মনোরম উদ্যানটি গঙ্গার ঠিক উপরেই অবস্থিত । আচার্যা জগদীশ চন্দ্র এই নির্জন কাননে বসিয়া উদ্ভিদজীবন সম্বন্ধে বহু আশ্চর্য গবেষণা করিয়া সমগ্র সভ্য জগতের বিস্ময় উৎপাদন করিয়া গিয়াছেন। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য এখানে বহু দেশের বহুবিধ তরুলতা সংগৃহীত আছে - - -- •응3~