পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰজ্ঞৰঙ্গ জেলপথে বাংলা দেশ (ক) কলিকাতা—শিলিগুড়ি। রাণাঘাট-বনগ্রাম ও রাণাঘাট শান্তিপুর, পোড়াদহ-গোয়ালন্দ-ফরিদপুর -ভাটিয়াপাড়া ঘাট, ঈশ্বরদি-সিরাজগঞ্জঘাট ও আবদুলপুর -চাপাই-নবাবগঞ্জ শাখা দমদম জংশন-কলিকাতা হইতে ৪ মাইল দূর । এই স্থানের চলিত নাম ঘুঘুডাঙ্গা। এখানে কলিকাতারাসী বহু ধনী ব্যক্তির উদ্যান বাটিকা আছে। স্টেশন হইতে পায় আৰ্দ্ধ মাইল দূরে বাগজল নামক স্থানে একজন পীরের সমাধি আছে। তথায় প্রতি বৎসর মাঘ মাসে সপ্তাহব্যাপী একটি মেলা বসে । দমদম জংশন হইতে খুলনা শাখা লাইন বাহির হইয়াছে। কলিকাতা হইতে খুলনা পর্যান্ত সরাসরি গাড়ী যাতায়াত করে। & বেলঘরিয়া—কলিকাতা হইতে ৭ মাইল দূর। স্টেশনের এক মাইল পূৰ্ব্বদিকে নিমতা গ্রাম কবি কৃষ্ণরামের জন্ম স্থান। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে কৃষ্ণরাম দাসের জন্ম হয় । তিনি বান্ত্রের দেবতা দক্ষিণরায়ের মাহাত্মা সূচক “ রায় মঙ্গল” কাব্য লিখিয়া যশস্বী হন । “রায় মঙ্গল” ছাড়া কবি কৃষ্ণরাম * ষষ্ঠ মঙ্গল”, “অশ্বমেধ পৰ্ব্ব” ও “ কালিকা মঙ্গল” (বিদ্যাসুন্দর) কাব্য প্রণয়ন করেন। বাঙালী কবিগণের মধ্যে কবি কৃষ্ণরামই বিদ্যাসুন্দরের উপাখ্যানের আদি কবি। কৃষ্ণরামের পর বিখ্যাত শু্যামাসঙ্গীত রচয়িত রামপ্রসাদ সেন, মহাকবি ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর ও প্রাণারাম চক্রবর্তী নামক জনৈক কবি “বিদ্যাসুন্দর” রচনা করেন। কবি কৃষ্ণরামের জন্মভিটা আজিও নিমত। গ্রামে বর্তমান আছে । আগড়পাড়া-কলিকাতা হইতে ৮ মাইল দূর। স্টেশনের অতি নিকটে ডাউন প্লাটফরমের পার্শ্বে সুপ্রসিদ্ধ তারাপুকুরের পীরের আস্তান অবস্থিত। এই আস্তানাটি বহু প্রাচীন। আনুমানিক তিনশত বৎসর পূৰ্ব্বে আজমীর হইতে একজন পীর আসিয়া এই স্থানে বটবৃক্ষমূলে বসিয়া তপস্যা করেন। তাহার অলৌকিক শক্তির পরিচয় পাইয়া স্থানীয় অধিবাসিগণ র্তাহার প্রতি অনুরক্ত হন। কথিত আছে, একবার তিনি জনৈক ধনী শিন্যের বন্ধুবর্গের ব্যবহারের জন্য ইচ্ছামাত্র বহু রোপানিৰ্ম্মিত তৈজসপত্র সৃষ্টি করিয়াছিলেন। পরের সমাধির উপর একটি একগম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। যে বটবৃক্ষতলে পরের আসন ছিল, উহা শাখা প্ৰশাখা বিস্তার পূর্বক একটি ছায়াশীতল কুঞ্জ রচনা করিয়া আজিও দণ্ডায়মান আছে। পীর সাহেরের মৃত্যু-তিথি ১লা মাঘ তারিখ হইতে এখানে 5