পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলা দেশ ԳՏ কাচড়াপাড়ার প্রাচীন নাম কাঞ্চনপল্লী। বৈষ্ণব সাহিত্যে এই স্থান “সেন শিবানন্দের পাট” নামে উল্লিখিত আছে। শিবানন্দ শ্রীচৈতন্যদেবের বিশেষ অনুরক্ত ভক্ত ছিলেন । চৈতন্যদেব কাঞ্চনপল্লীতে শিবানন্দের গৃহে আগমন করিয়াছিলেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর চৈতন্যদেব যখন নীলাচলে (পুরীতে) অবস্থান করিতেন তখন প্রতিবৎসর রথযাত্রার সময় গৌড়দেশীয় ভক্তগণ র্তাহাকে দর্শন করিতে যাইতেন । সেন শিবানন্দ এই ভক্তমণ্ডলীর পথ প্রদর্শক হইয়া তাহাদিগের সর্বপ্রকার ব্যয়ভার বহন করিতেন । চৈতন্যদাস, রামদাস ও পুরীদাস নামে শিবানন্দের তিন পুত্র ছিলেন। ইহাদিগের মধ্যে সৰ্ব্বকনিষ্ঠ পুরীদাস বা পরমানন্দ সেন সংস্কৃত ভাষায় “চৈতন্য চন্দ্রোদয় নাটক”, কৃষ্ণরায়ের মন্দির, কাচড়াপাড়া “চৈতন্যচরিতামৃত কাব্য” ও “গেীরগণোদেশদীপিকা” নামক গ্রন্থ রচনা করিয়া মহাকবিরূপে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। স্বয়ং চৈতন্যদেব তাহাকে “ কবিকর্ণপুর" উপাধি প্রদান করেন। বৈষ্ণবজগতে এই শেষোক্ত নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। সেন শিবানন্দের প্রতিষ্ঠিত শ্ৰীকৃষ্ণরায় বিগ্ৰহ আজও কাচড়াপাড়ায় নিত্য পূজিত হইতেছেন ।