পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br: বাংলায় ভ্রমণ দাসের নিকট বৈষ্ণবধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন এবং তখন হইতে র্তাহার নাম হয় আউলচাদ । কৰ্ত্তাভজাগণকে বৈষ্ণু সম্প্রদায়ের একটি শাখা বলা যাইতে পারে। নিজ ধৰ্ম্মকে ইহার সত্যধৰ্ম্ম বা সহজধৰ্ম্ম বলিয়া থাকেন। ইহাদের মতে কৰ্ত্ত বা ঈশ্বর জগতের স্রষ্টা এবং গুরুই ঈশ্বরের প্রতিনিধি | এই সম্প্রদায়ের গুরুগণ “মহাশয়” ও শিষ্যগণ “বরাতি" নামে অভিহিত হন । এই সম্প্রদায়ের সাধন বিষয়ে কতকগুলি গুহা রহস্য আছে, সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তি ছাড়া অপরে উহা জানিতে পারে না। দিনে পাঁচবার ইহাদের মন্ত্রজপ করিতে হয়। শুক্রবারকে পবিত্রজ্ঞানে এই দিন ইহাৱা উপবাসে এবং ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে অতিবাহিত করেন। মদ্য ও মাংস ইহাদের নিকট নিষিদ্ধ বলিয়া কথিত । সাধনক্ষেত্রে ইহাদের মধ্যে জাতিভেদ না থাকিলেও ব্যবহারিক জীবনে ইহারা জাতিভেদ প্রথা মানিয়া চলেন । হিমসাগর দীঘি, ঘোষপাড়। কথিত আছে, যে এই সম্প্রদায়ের প্রবর্তৃক আউলৰ্চাদের ২১ জন শিষ্য ছিল। উহাদের মধ্যে সদেগাপ বংশীয় রামশরণ পাল আউলৰ্চাদের মৃত্যুর পর গুরুর পদ প্রাপ্ত হন। বর্তমানে রামশরণের বংশধরগণই ঘোষপাড়ায় থাকিয়া এই সম্প্রদায়ের পরিচালনা করেন । রামশরণের স্ত্রী অত্যন্ত ধৰ্ম্মপরায়ণা ছিলেন । শিষ্যগণ র্তাহাকে “সতী মা” নামে অভিহিত করিতেন। সতীমায়ের সমাধিস্থান ডালিমতল ঘোষপাড়ার একটি বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান । কিংবদন্তী প্রচলিত আছে যে একবার রামশরণের স্ত্রী অত্যন্ত পীড়িত হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইলে আউলচাদ নিকটস্থ পুষ্করিণী হইতে কিছু মৃত্তিক লইয়া তাঙ্গর গায়ে মাখাষ্টয়া তাহাকে তৎক্ষণাৎ রোগমুক্ত ও সুস্থ করিয়াছিলেন। আউলৰ্চা তাহার সন্তানরূপে জন্মগ্রহণ করিবেন বলিয়া আশ্চর্যাভাবে অন্তহিত হন। তিনিষ্ট রামশরণের পুত্র রামদুলাল রূপে জন্ম গ্রহণ করেন বলিয়া কথিত । ঘোষপাড়ায় হিমসাগর নামে একটি দীঘি আছে। অনেকের বিশ্বাস যে ইহার জলের রোগ আরোগা করিবার 6a