পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 বাংলায় ভ্রমণ শ্ৰীক্ষেত্রে গমন করেন। সেখানে জগন্নাথদেবের নবকলেবর ধারণকালে তিনি পুরাতন প্রতিমূৰ্ত্তিটি পুরী হইতে স্বয়ং পদব্রজে বহন করিয়া যশোড়ায় আনয়ন ও প্রতিষ্ঠা করেন। স্নানযাত্রার সময় যশোড়ায় বহু জনসমাগম হয়। প্রতিবৎসর পৌষ মাসের শুক্ল দ্বাদশী তিথিতে যশোড়ায় জগদীশ পণ্ডিতের তিরোভাব মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয় এবং মাঘী পূৰ্ণিমা ও গঙ্গাস্নানের যোগ উপলক্ষেও এখানে বহু লোকের সমাবেশ হয়। চাকদহ—কলিকাতা হইতে ৩৮ মাইল দূর । এই স্থানের প্রাচীন নাম চক্রদ্বীপ বা চক্রদহ। প্রবাদ, গঙ্গা আনয়নের সময় ভগীরথের রথের চক্র এখানে একটি গভীর খাত খনন করিয়া গিয়াছিল, গঙ্গাজলে পূর্ণ হইয়া উহার নাম হয় চক্রদহ বা চাকদহ। এই স্থান বিশেষ পবিত্র বলিয়া বিবেচিত হয়। রেল খুলিবার পূৰ্ব্বে যশোহর ও খুলনা মংেশ পণ্ডিতের ফুলসমাঙ্গ বেদী ও মন্দির, চাকদহ অঞ্চলের বহু লোক চাকদহে গঙ্গাস্নান করিতে আসিতেন । চাকদহ হইতে বনগ্রাম হইয়া যশোহর পর্য্যন্ত একটি পাকা রাস্তা আছে। এখনও বহুদূর হইতে লোকে এখানে শবদাহ করিতে আসে। বর্তমানে চাকদহ হইতে গঙ্গা প্রায় দেড় মাইল দূরে সরিয়া গিয়াছে। চাকদহ গ্রামের নিম্নে গঙ্গার পুরাতন খাত এখনও বর্তমান আছে। প্রাচীন কালে গঙ্গাসাগরের ন্যায় এই স্থানেও লোকে শিশু সন্তান নিক্ষেপ করিত ও তানেকে মুক্তি প্রাপ্তির আশায় চক্রদহের জলে ডুবিয়া প্রাণ বিসর্জন দিত। কথিত আছে {ষাড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে মহারাজ মানসিংহ যখন মহারাজ প্রতাপাদিতাকে দমন করিবার জন্য বাংলায় আগমন করেন তখন র্তাহার সৈন্যদলকে ঝড়বৃষ্টির জন্য কয়েকদিন এই স্থানে অপেক্ষা করিতে হইয়াছিল। চাকদহ স্টেশন হইতে মাত্র সাত আট মিনিটের