পাতা:বাংলার গীতি কবিতা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাক্ত সাহিত্য ধারায়- রামপ্ৰসাদ SO গচ্ছ বল তাকে।” ইহার ইঙ্গিত এইরূপ-যে বিভু সৰ্ব্বত্র থাকে তাকে ইহা গচ্ছ বলিলে অযুক্তির কাজ হয়। যুক্তি বিচারে যাহা আসিদ্ধ তাহা করিবে কেন ? যুক্তি ত বিচারপূর্বক ধৰ্ম্ম সংস্কার। কিন্তু ইহা ত কলাবিদের সৃষ্টি নয়। রামমোহন রামপ্ৰসাদের ভাব লইলেন-কিন্তু মায়ের মূৰ্ত্তি এই কথাটিতে র্তাহার কেমন আটকাইয়া গেল। তিনি মায়ের মূৰ্ত্তির বিরোধী। তা সে মূৰ্ত্তি ধাতু পাষাণেই হউক, আর সাধনের পরিণতিতে সাধকের চক্ষে ত্ৰিভুবন ব্যাপিয়াই হউক । রামপ্রসাদের এই মূৰ্ত্তি সাধনাও এমন কি তঁাহার এই ত্ৰিভুবনব্যাপী স্বাভাবিক পরিণতিরও বিরুদ্ধে রামমোহনের ধৰ্ম্ম সংস্কার । কেন না। তঁহার যুক্তি বলিয়াছে ১ । “বিভু’ নােমরূপহীন নিস্ত্ৰৈগুণ্য- অথচ ২ । তিনি সর্বত্র থাকেন ৩ । সুতরাং কোন বিশেষ স্থানে ইহ। গচ্ছ বলিয়া ডাকা অযুক্তির কাৰ্য্য। এবং এই বিভু যদি মায়ের মূৰ্ত্তি হইয়া ত্ৰিভুবন আচ্ছন্ন করিয়া আসিয়া দেখা দেন তবে তাহাও যুক্তিতঃ অগ্ৰাহা । সাধনার বৈপরীত্যে এই বিপরীত রীতির প্রচলনের চেষ্টা বাঙ্গালী রামমোহন করিয়াছিলেন । আমি এইরূপই বুঝিয়াছি --তাই বলিয়াছিলাম “রামপ্ৰসাদ যে সুরে গাহিয়া গেলেন রামমোহন ঠিক তাহার উল্টা সুর ধরিলেন ।” রামপ্ৰসাদের কল্পকলার পরিণতিতে দেখা যাইতেছে