বাংলার পাখী। s সুরু করে। প্ৰথমে বাসার চেহারা হয়, দড়িতে ঝুলানো একটা ঘণ্টা বা ছাতার মতো। খোঁজ করিলে তোমরা তালগাছে বা খেজুর-গাছে এই রকম ঘণ্টার আকারের বাসা দেখিতে পাইবে। এই ঘণ্টার নীচে প্রায়ই একগাছি শক্ত খড়ের দড়ি দাড়ের মতো লাগানো দেখা যায়। বাবুইৱা কাজ করিতে করিতে সেই ছাতার তলাকার দড়ির উপরে বসিয়া বিশ্রাম করে এবং গান গাহিয়া আনন্দ করে। লোকে বলে, ইহা নাকি বাবুইদের বৈঠকখানা। স্ত্রী-বাবুইরা যখন খুৱ মন দিয়া বাসা বোনে, তখন পুরুষ-পাখী ছাতার তলার দড়ির উপরে বসিয়া তাহাকে গান শুনাইয়া খৃসী। ड्रitश । বাবুইরা ভারি স্মৃৰ্ত্তিবাজ পাখী ; ধীরে ধীরে বাসা তৈয়ারি শেষ হইয়া গেলে ইহাদের আনন্দের আর সীমা থাকে না। তখন তাহারা যে কি করিবে, তাহা ঠিক করিতে না পারিয়া হয়ত উড়িয়া উড়িয়া ডিগবাজী খাইতে আরম্ভ করে ; কখনো বা উৎসাহের চোটে পরস্পর কামড়াকামড়ি আরম্ভ করে । বোধ করি, তখন ইহারা অন্য পাখীদের জানাইতে চায়,--“দেখ, আমরা কেমন বাসা বেঁধেচি ; তোরা বোকা, বাসা বঁধতে জানিসনে।” অন্য পাখীরা যেমন বাসায় যাইবার সময়ে প্রথমে উড়িয়া গাছের ডালে বসে এবং তার পরে ধীরে ধীরে বাসার ভিতরে যায়, বাবুইরা তাহ করে না। ইহারা উড়িতে উড়িতে বাসার
পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।