মধুপায়ী আমরা যত পাখী দেখিতে পাই, তাহদের মধ্যে মধুপায়ী পাখীরাই বোধ হয় সব চেয়ে ছোটো। কোন পাখীদের আমরা মধুপায়ী বলিতেছি, তোমরা তাহা বুঝিতে পারিয়াছ কি ? ইহাদের কেহ কেহ “মৌ চোষা,” কেহ বা “দুৰ্গা টুনটুনি” বলেন। তোমরা ইহাদের কোণ নামে ডাকো, তাহা জানি না। কিন্তু তোমরা ইহাদের নিশ্চয়ই দেখিয়াছ। মধুপায়ীরা আকারে তিন-চারি ইঞ্চি; বেশী বড় হয় না। ফুলের মধু ও ফুলের ভিতরকার পোকামাকড়ই ইহাদের প্রধান আহার। তাই মৌ-মাছি ও ভ্রমরদের মতো ইহারা ফুলে ফুলে উড়িয়া বেড়ায়। এক মুহূৰ্ত্তও ইহাদিগকে স্থির থাকিতে দেখা যায় না; কেবলি ফুলের গাছে লাফালাফি করিয়া বেড়ায়। মধুপায়ীদের গায়ে এত শক্তি কোথা হইতে আসে, জানি না। আমরা আধমাইল পথ দৌড়াইতে গেলেই হাঁপাইয়া পড়ি,~~কিন্তু সমস্ত দিনের লাফালাফিতে ইহার একটুও ক্লান্ত হয় না। শিমুল গাছ যখন সরস্বতী পূজার সময়ে ফুলে ফুলে ভরিয়া উঠে, তখন শালিক প্রভৃতি পাখীদের মহোৎসব
পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/১১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।