বাংলার পাখী। খায় বটে, কিন্তু বকদের মতো জলের ধারে বেড়ায় না। হাসের কথা ভাবিয়া দেখ ; ইহাদের চেহারা কাক, বক বা শকুন কাহারো মতো নয়। হাঁসেরা গাছের ডালে বসিতে পারে না এবং জলুের ধারে ঘুরিয়া পোক-মাকড়ও ধরিয়া খায় না। ইহারা জলে সীতার দিয়া পাঁকে মুখ ডুবায় এবং সেখানকার শামুক, গুগলি তুলিয়া খায়। তাহা হইলে দেখ, এই চারি রকম পাখীর আকৃতি ও চাল-চলনে কত তফাৎ । যাহা হউক, পাখীদের এই রকম আকৃতি-প্রকৃতি দেখিয়া নানা লোকে তাহাদিগকে নানা ভাগে ভাগ করিয়াছেন । সে-সব ভাগের কথা আমরা তোমাদিগকে বলিব না। আমরা মোটামুটি চাল-চলন দেখিয়া পাখীদের শাখাশ্রয়ী, কপোত, শিকারী, কুলেচর ও সস্তরণকারী এই পাঁচ ভাগে ভাগ করিলাম। যে-সব পাখী ডালে বসিতে পারে, তাহাদের KDEgBD DBDB BBDS DBDBB S BBDSBBDBDS DDDDLS হাঁড়িচাচা, চড়াই, বাবুই, বুলবুল-ইহারা সকলেই শাখাশ্রয়ী। হরিয়াল, ঘুঘু, ময়ুর,-ইহারা সকলেই কপোত অর্থাৎ পায়রা জাতের পাখী ; চিল, বাজ, শিকরা, প্যাচা ইত্যাদি পাখীরা, পোক-মাকড় ও জন্তু-জানোয়ার ধরিয়া খায়, তাই ইহাদিগকে শিকারী পাখী বলা হইল। কাদাখোঁচা, জলপিপি, ডাহুক, বক, সারস প্ৰভৃতি পাখীরা নদী ও খাল-বিলের ধারে বেড়াইয়া পোক-মাকড় ও ছোটো মাছের সন্ধানে ঘোরে । তাই ইহাদের নাম দেওয়া হইল কুলেচর। চকাচকি, হাঁস,
পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।