8 বাংলার পাখী “কোয়াও-কোয়াও” শব্দে চীৎকার করে, তখন बालुद्देि ইহাদিগকে গুলি করিয়া মারিতে ইচ্ছা হয়। ইহারা পাতিকাকদেরই মতো নোংরা জিনিষ খাইতে ভালবাসে। নদীর স্রোতে মরা গরু-বাছুর ভাসিয়া যাইতেছে,-দুই-তিনটা, দাড়কাক তাহার উপরে চড়িয়া পচা মাংস ছিাড়িয়া খাইতেছে, ইহা আমরা অনেক দেখিয়াছি। দাড়কাকদের এই কাণ্ড দেখিতে ভারি বিশ্ৰী লাগে। নির্জন জায়গায় দু’একটা দাড়কাককে এই রকমে মাংস ছিাড়িয়া খাইতে দেখিলে ভয়ও করে। তাই বোধ করি লোকে বলে, দাঁড়কাক যমের দূত। ' সাধারণ কাকেরা কি প্ৰকার দুষ্ট ও সাহসী, তোমাদিগকে তাহা আগেই বলিয়াছি। চিলের মতো ভয়ানক পাখীকেও ইহারা ভয় করে না। বিনা কারণে কাকেরা চিলের পিছু পিছু গিয়া তাহার লেজ ধরিয়া টানাটানি করিতেছে, ইহাও আমরা দেখিয়াছি। কোকিল ও প্যাচাগুলাকে ত ইহারা জ্বালাতন করিয়া অস্থির করেই। কিন্তু আশ্চৰ্য্যের বিষয়, দাড়কাকদের কাছে পাতি-কাকেরা খুব জব্দ থাকে । ইহারা দাড়কাকদের গায়ে খোচা মারিতেছে, বা লেজ ধরিয়া টানিতেছে, ইহা আমরা কখনও দেখি নাই। যাহা হউক, কাকদের এত দুষ্টামি থাকিলেও তাহারা বাচ্চাদের বড় ভালবাসে। কোকিলেরা লুকাইয়া কাকের বাসায় ডিম পাড়িয়া আসে। কাকেরা ডিমগুলিকে নিজেদেরি ডিম ভাবিয়া তাহাতে তা দেয়, এবং তাহ ফুটাইয়া বাচ্চ
পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।