S0 ʼ বাংলার পাখী কিছুই তাহাদের গ্ৰাস হইতে মুক্তি পায় না। তা’ ছাড়া। টিকটিকি, গিরগিটি, আরসুলার ত कथाई नांझे । जीभgन পাইলেই এগুলিকে তাহারা খাইয়া ফেলে। শুনিয়াছি, ছোট ছােট সাপ সামনে পাইলে, হাঁড়িচাচারা খাইতে, ছাড়ে না। ইহাদের ছোটাে পেটগুলি যেন किछूडझे उद्भिट চায় না,-তাই সমস্ত দিনই কেবল খাই-খাই করিয়া বেড়ায়। শুনিয়াছি, খাবার বেশি পাইলে ইহারা অসময়ের জন্য যেখানে সেখানে লুকাইয়া রাখে। হাড়িচাচাদের বাসা তোমরা দেখিয়াছ কি ? વિનાશક মাসে বাগানের গাছের উঁচু ডালে ইহারা বাসা বাধে। ইহাদের বাসায় হাৰাজ-গোব জা। ছাই-ভস্ম ছাড়া আর বেশি কিছু দেখা যায় না। গাছের উঁচু ডালে বাসা থাকে বলিয়া অন্য জন্তু জানোয়ারে বা পাখীতে ইহাদের ডিম নষ্ট করিতে পারে না। কিন্তু চেষ্টার ত্রুটি হয় না-কাক, কোকিল, ফিঙে, চিল সকলেই হাড়িচাচাদের ডিম। চুরি করিবার জন্য বাসার চারিদিকে ঘুরিয়া বেড়ায়। তাই যখন স্ত্রী হাঁড়িচাচা ডিমে তা দিতে বসিয়া যায়, তখন পুরুষটা বাসার কাছের ডালে বসিয়া পাহারা দেয়। এই সময়ে যদি কেহ গাছের তলায় যায়, তবে পাহারাওয়ালা পাখী ফসূ করিয়া উড়িয়া তাহাকে ঠোকর মারে। আমরা ছেলেবেলায় বাসার কাছে গিয়া একবার হাড়িচাচার ঠোকর খাইয়াছিলাম। ইহাদের ঠোটে ভয়ানক ধার-যেখানে ঠোকর দেয় সেখান হইতে রক্ত
পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।