পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

St বাংলার পাখী গাছের উপরে গো-শালিকেরা বিশ্ৰী করিয়া বাসা বাঁধে। লোকের বাড়ীতে ইহাদের বাসা কখনই দেখা যায় না। তাছাড়া তোমরা কখনই গাছের উঁচু ডালেও এই বাসা দেখিতে পাইবে না। আট দশ হাত উচুতে খড়কুটা ও, ময়লা ন্যাকুড়া-কানি দিয়া ইহাদিগকে গাছের ডালে বাসা । বঁধিতে দেখা যায়। একই গাছে ছয়-সাতটি গো-শালিকে বাসা বঁধিয়াছে, ইহা আমরা দেখিয়াছি। যেমন ইহার এক সঙ্গে চরিয়া বেড়ায়, তেমনি একই গাছে বাসা বঁধে । গাং শালিক তোমরা হয় ত দেখিয়াছ। ইহাদিগকে দেখিতে অনেকটা সাধারণ শালিকদেরই মতো, তবে গায়ের রঙ, খয়েরি নয়, কতকটা ধূসর এবং ঠোঁট ও চোখের গোড়ার রঙ লালচে। গাং শালিকদের পুষিলে টিয়া ও ময়নাদের মতো কথা বলিতে শিখে। অনেক দিন আগে আমরা একটা গাং-শালিক পুষিয়াছিলাম। সে “রাধা কৃষ্ণ” “রাম রাম” এই রকম অনেক কথা বলিতে শিখিয়াছিল। ইহাদিগকেও তোমরা গৃহস্থের বাড়ীতে বা বাগানে চরিতে দেখিবে না। নদীর ভাঙনের গায়ে গৰ্ত্ত খুড়িয়া এবং তাঁহাতে খড়কুটা জমা করিয়া চৈত্রবৈশাখ মাসে বাসা করে এবং তাঁহাতেই ইহারা ডিম পাড়ে। নদীর ধারে বেড়াইতে গেলে তোমরা ইহাদিগকে ঝাঁকে ঝাঁকে কিচি-মিচি চীৎকার করিয়া চরিতে দেখিবে । সাধারণ শালিকদের ডিমের মতো গাং শালিকদের ডিমের রঙ ও নীল। বাচ্চাদের চোখের গোড়ায় লাল রঙ