80 বাংলার পাখী ফিঙেরা বুঝি খুব অহঙ্কারী পাখা, তাই মাটিতে পা দেয় না। কিন্তু তাহা নয়। দুই-একটা লোক যেমন মাথার চুলের খুব যত্ন করে,-দিনের মধ্যে দশ বার আয়না-চিরুণি লইয়া টেরি কাটে, সেই রকম পাখীদের মধ্যে ফিঙের লেজের খুব যত্ন, করে। তাই পাছে মাটিতে ঠেকিয়া লেজ খারাপ হইয়া যায়, এই ভয়ে তাহারা মাটিতে পা দেয় না। পোক-মাকড়ই ফিঙেদের প্রধান আহার। মাটিতে চরিয়া বেড়াইবার সুবিধা নাই বলিয়া তাহারা উড়িতে উড়িতেই পোকা ধরিয়া খায়। যখন ফিঙেরা টেলিগ্রাফের তারের উপরে বা বাঁশের উপরে চুপ করিয়া বসিয়া থাকে, তখন হয় তা তোমরা মনে কর, ফিঙের হাওয়া খাইতেছে। DD DBDB DB SBBDB BB SDD BDDDBDB DS সময়ে কেবল ইহারা তাহাই দেখে। পোকা নজরে পড়িলেই ছো মারিয়া ধরিয়া খাইয়া ফেলে। আমাদের দেশে সন্ধ্যার সময়ে অনেক পোকা বাহির হয়। তাই সূৰ্য্য অস্ত গেলে বখন অন্য পাখীরা বাসায় ফিরে, তখন ফিঙেদের শিকার করিবার সময় হয়। তোমরা একটু খোজ করিলেই দেখিবে, সন্ধ্যার সমরে যখন বেশ অন্ধকার হইয়া আসিয়াছে, তখনো তোমাদের বাগানে ফিঙেরা উড়িয়া উড়িয়া পোকা ধরিয়া খাইতেছে। ভয় পাইলে বা কোনো পাখীকে তাড়াইতে গেলে ফিঙের ধে শব্দ করে, তাহা শুনিতে ভাল নয়। অন্য সময়ে যখন আপন মনে ডাকে, তখন তাহার স্বর বড় মিষ্ট বোধ হয়।
পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।