8 বাংলার পাখী। ছোটো গাছের তলায় বেড়ায়। এই রকমে এক সঙ্গে অনেকগুলি করিয়া চরিয়া বেড়ায় বলিয়াই বোধ হয় ছাতারেদের “সাত ভাই” নাম দেওয়া হয়। যাহাই বল, এই পাখীদের দেখিতে কিন্তু ভারি বিশ্ৰী। আকারে ইহারা শালিকের চেয়ে বোধ করি বেশি বড় হয় না। গায়ের রঙ মাটির মতো, চােখ, পা, ঠোঁট সবই সাদা-দেখিলেই মনে হয় যেন সদ্য অসুখে ভুগিয়া উঠিয়াছে, তাই গায়ে রক্ত নাই। কিন্তু চোখের চাহুনি দেখিলেই বুঝা যায়, পাখীগুলা ভয়ানক দুষ্ট। খুব দুষ্ট ছেলের তাকানি কি রকম তোমরা দেখ নাই কি ? ছাতারেদের চান্থনি যেন কতকটা সেই রকমের। ছাতারে পাখীদের বাসা বোধ করি তোমরা দেখ নাই। গাছের খুব উপর ডালে ইহারা উঠিতে পারে না। তাই ঝোপ-জঙ্গলের ছোটো গাছের পাতার আড়ালে বাসা বাধিয়া ইহারা ডিম পাড়ে। আমরা ছাতারের বাসা দেখিয়াছি, - ঘাস ও খড় দিয়া উহাৱা বাসগুলিকে পেয়ালার আকারে তৈয়ারি করে। কিন্তু সেগুলিকে ভালো করিয়া বাসায় সাজাইয়া রাখিতে পারে না। তাই দূর হইতে ছাতারের বাসাকে খড়কুটার ঢিপি বলিয়া মনে হয়। বাসায় খড়কুটা এমন এলোমেলো করিয়া সাজানো থাকে যে, প্রায়ই উহাদের দুই-একটা ডিম বাসার ফাঁক দিয়া মাটিতে পড়িয়া যায়। কোকিলেরা যেমন লুকাইয়া কাকের বাসায় ডিম পাড়ে, তেমনি ছাতারের বাসায় পাপিয়ারা ডিম পাড়ে। কিন্তু
পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।