বাংলার পাখী। 8 ইহা আমরা স্বচক্ষে দেখি নাই। পাপিয়ার ডিম ছাতারের ডিমের মতো উজ্জল নীল রঙের কিন্তু আকারে একটু বড়। তাঙ্গ পাপিয়ারা সুবিধা মত ছাতারের বাসায় ডিম পাড়িয়া আসিলে ছাতারেরা সেগুলিকে নিজের ডিম মনে করিয়া তা দিয়া ডিম ফোটায়। ছাতারের বাচ্চা এবং পাপিয়ার বাচ্চ দেখিতে প্ৰায় ঠিক এক রকমেরই । তাই ডিম হইতে বাচ্চা বাহির হইলেও কোনটি নিজের বাচ্চা এবং কোনটিই বা পরের চ্চা, তাহা ছাতারেরা বুঝিতে পারে না। কিন্তু পাপিয়াদের ছানারা ভয়ানক রক্ষুসে,-দিবারাত্রিই কোকিল ও কাকের বাচ্চাদের মতো খাই-খাই করে। তাই পরের ছানাদের পেট ভরাইতে ছাতারেদের সব্বদাই ব্যস্ত থাকিতে হয়। “ফটিক জল” পাখী তোমরা কখনো দেখিয়াছ কিনা জানি না। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে ইহাদের ডাক কিন্তু প্রায়ই শুনা যায়। তখন বট গাছের ঘন পাতার আড়ালে বসিয়া ইহারা শিষ দিয়া “ফ-টি-ই-ই-ই- ক জল” এই রকম শব্দ করে। দুপুর বেলায় ঝাঁ বা। রৌদ্রের মধ্যে যখন সব নিস্তব্ধ, তখন এই ডাক শুনিতে বেশ মিষ্ট লাগে । সত্যই মনে হয়, পাখীগুলা বুঝি তৃষ্ণায় আকুল হইয়া “ফটিক " “ফটিক জল” বলিয়া চাংকার করিতেছে। লোকে বলে, ইহারা কাক-শালিকদের মতো জলাশয়ের জল খায় না। যখন বৃষ্টির জল পড়ে, তখন হাঁ করিয়া জলের বিন্দু খাইয়া তৃষ্ণা থামায়। তোমরা বোধ করি ভাবিতেছ, এই পাখীদেরই
পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।