Vo বাংলার p “চোখ গেল” করিয়া দিবারাত্রি ডাকে। তার পরে জ্যৈষ্ঠর শেষে কোকিলদের মতো ইহাদেরো গলার স্বর বন্ধ হইয়া যায়। তাই ডাক শুনিতে না পাইয়া অনেকে মনে করে, বসন্ত ও গ্রীষ্ম কাল বাংলা দেশে কাটাইয়া পাপিয়ারা বর্ষাকালে, অন্য দেশে চলিয়া ব্যায়। কিন্তু তাহা ঠিক নয়। কোকিলদের মতো ইহারা বারো মাসই পাতার আড়ালে লুকাইয়া আমাদের দেশে কাটায়। ভালো মানুষের মতো পাতার আড়ালে লুকাইয়া থাকিলেও পাপিয়াদের মধ্যে যথেষ্ট দুষ্টামি আছে। কোফিলরা কি রকমে কাকের বাসায় ডিম পাড়ে, তাহা আগেই বলিয়াছি। পাপিয়ারাও নাকি সেই রকমে ছাতারে পাখীদের বাসায় ডিম পাড়ে। ছাতারেরা সেই সব ডিম নিজেদেরি মনে করে এবং তা দিয়া সেগুলি হইতে বাচ্চ বাহির করে। কাজেই পাপিয়াদের বাসা বাঁধিতে হয় না এবং ডিমেও তা দিতে ३१ माँ ! কুকো পাখী তোমরা হয় তা পল্লীগ্রামে দেখিয়াছ। ইহার লম্বা লেজওয়ালা বেশ বড় রকমের পাখী। জঙ্গলের মধ্যে ছোটাে গাছে ও বাঁশ-ঝাড়ে ইহাদের প্রায়ই দেখা যায়। বাগানের ফাঁকা জায়গায় বা গৃহস্থের বাড়ীতে ইহারা কখনো আসে না। ডানা খুব লম্বা নয়, তাই অনেক দূরে উড়িয়া বেড়াইবার শক্তিও ইহাদের থাকে না। কুকোদের ডানাগুলির রঙ, খয়েরি। তা ছাড়া শরীরের
পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।