পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

've Gu NONO) বাপ ও কন্যা ঘোর বনে চলিয়াছেন, দিশেহারা পথিকের মত । চারিদিকে শাল, তাল, তমাল বৃক্ষ যেন স্তম্ভিত হইয়া জটাজুটধারী সন্ন্যাসীর মত দাড়াইয়া আছে। সে অরণ্যে না ছিল মানুষ, না ছিল পশু-দূর নীল আকাশে একটি পাখী পৰ্য্যন্ত উড়িতে দেখা গেল না, সম্মুখে একটা ভাঙ্গা মন্দির । মন্দিরের মধ্য হইতে কপাট বন্ধ । পিতা ও কন্যা যাইয়া সিডির উপর বসিলেন । পথশ্রান্তি ও অনাহারে কাজলরেখা এত দুর্বল হইয়া পড়িয়াছিল যে তাহার আর এক পা ও অগ্রসর হইবার সামর্থ্য ছিল না। সে তাহার। পিতাকে বলিল, “তৃষ্ণায় আমার ছাতি ফাটিয়া যাইতেছে, আমায় এক ফোটা DDBDD DBDD B DBDBDB BK BBD DBB SS ধনেশ্বর সদাগর জল আনিতে গেলেন। কাজলরেখা ঘুরিয়া ঘুরিয়া সেই মন্দিরের চারিদিক দেখিতে লাগিলেন । দরজা বন্ধ ছিল, কিন্তু কাজলের স্পৰ্শমাত্র দরজা খুলিয়া গেল, কিন্তু সেই মন্দিরে ঢুকিয়া তাহার ভয় হইতে লাগিল । তিনি বাহির হইতে ইচ্ছা করিলেন, কিন্তু দরজা তখন এত শক্ত ভাবে বন্ধ হইয়াছে যে তিনি কিছুতেই খুলিতে পারিলেন না। ইহার মধ্যে তাহার পিতা জল লইয়া উপস্থিত। সদাগর মন্দিরের মধ্য হইতে কন্যার স্বর শুনিয়া ডাকিয়া তাহাকে দরজা খুলিতে বলিলেন। কাজল বলিলেন “আমি দরজা কিছুতেই খুলিতে পারিতেছি না।” তখন তঁহার বলিষ্ঠ পিতা ও তিনি নিজে খুব ধস্তাধস্তি করিতে লাগিলেন, কিন্তু দরজা খুলিল না। সদাগর মন্দিরের নিকটবৰ্ত্তী একটা পাথরের স্তপ হইতে পাথর আনিয়া দরজায় প্ৰচণ্ড শক্তিতে আঘাত করিতে লাগিলেন, কিছুতেই কিছু হইল না, তখন সদাগর বলিলেন, “কাজল, মন্দিরে কি আছে ?” কন্যা বলিলেন “একটি ঘিয়ের বাতি এই মন্দিরে রাত্ৰিদিন জ্বলিতেছে, পার্শ্বে এক পালঙ্কে শয্যার উপর একটি যুবকের মৃতদেহ ।” সদাগর বলিলেন, “আমার প্রাণের কুমারী, তোমার কপালে দুঃখ আমি কি করিব ! এই শবই তোমার স্বামী, শুকের কথা সত্য । আমি ভাল বরে বিয়া দিতে চাহিয়াছিলাম, দৈব প্ৰতিবাদী হইয়াছেন। এখন ধৰ্ম্ম সাক্ষী করিয়া এই মৃত কুমারের সঙ্গে আমি তোমার বিবাহ দিয়া গেলাম। তোমা G Ara Kedarreth Sindh Furan Pathas Jhikira. h (YK rah