পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার পুরনারী করিয়া দাসী হইয়া হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটিতেছ।” মনে মনে এই প্রশ্ন করিয়া তাহার দুটি চক্ষু অশ্রুপূর্ণ হয়। অপর দিকে নকল রাণীর বাক্যে ও ব্যবহারে, কথাবার্তা ও ব্যাখানের চোটে রাজপুরীর হাওয়া তাহার নিকট দুঃসহ হইল। রাজা খাওয়া দাওয়া ছাড়িলেন, তাহার ঘুম নাই, পৃথিবীটা র্তাহার কাছে ফাকা। একদিন তিনি বুদ্ধ মন্ত্রীকে বলিলেন-“মন্ত্রি, আমি ছয়মাস-ছয়পক্ষের জন্য দেশ ভ্ৰমণে যাইব, তুমি এই সময়ের মধ্যে কাজলরেখার প্রকৃত পরিচয় জানিতে চেষ্টা করিও । আমার সন্দেহ হয়-এই কন্যা झान्नै नटुङ् ।” নকল রাণীর নিকট অন্তঃপুরে যাইয়া রাজা বলিলেন “আমি কিছুকালের জন্য বিদেশে যাইব, তোমার জন্য কি আনিব, বলিয়া দাও।” রাণী সোৎসাহে বলিল “আমার জন্য একটা বেতের ঝালি ও বেতের কুলা আনিও,” তারপরে একটু ভাবিয়া আবার বলিল, “শুনছ, আমলি কাঠের একটা ঢেঁকী, পিতলের নাথ, কঁাসার বাক খাড় ও কাঠের চিরুণি লইয়া আসিও। রাজা শুনিয়া লজ্জিত ও বিরক্ত হইলেন, কাজলরেখার কাছে। যাইয়া বিদায় চাহিতে গেলে র্তাহার মুখখানি বিষাদে যেন সাদা হইয়া গেল ; তাহার জন্য কি আনিতে হইবে, এই প্রশ্ন লইয়া রাজা পীড়াপীড়ি করিলে-কাজল বলিলেন, “আমি তো তোমার এখানে খুব সুখে আছি, আমার কোন অভাব নাই। আমি আর কিছু চাই না।” তথাপি রাজা ছাড়িবেন না-নিতান্ত বাধ্য হইয়া কাজল বলিলেন—“আমাদের “ধৰ্ম্মমতি” নামক একটা শুকপাখী ছিল, যদি পার সেইটিকে আনিও ।” নকল রাণীর ফরমাইসীি জিনিষ সংগ্ৰহ করিতে রাজার মোটেই কোন বেগ পাইতে হইলনা, নিতান্ত দরিদ্রপল্লীর বাজারেও তাহ পাওয়া যায়। কিন্তু কাজলের প্রার্থিত ধৰ্ম্মমতি শুক খুজিয়া রাজা হয়রাণ হইলেন। অথচ কাজলের ফরমাইস, ইহা পালন করিতেই DDDBB SS S BBD BD DBBDB DDD DD DBBBD BBB DS BBD DBBDDBD মুলুক হইতে অন্য রাজার মুলুক, এবং সদাগরের এলাকা হইতে অন্য সদাগরের এলাকায় টেড়া দিয়া খোজ করিতে লাগিলেন । অবশেষে কাজলরেখার পিতৃরাজ্য ধনেশ্বর মুলুকে ঢেঁড়া পিটাইয়া দিলেন-ধৰ্ম্মমতি শুকপাখী যদি কেহ বিক্রয় করে, তবে প্রচুর মূল্য দিব।