পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

UV QN 8) ধনেশ্বর ভাবিলেন, “ধৰ্ম্মমতি শুকের কথাতো আমি এবং কাজল রেখা ছাড়া আর কেহ জানে না। নিশ্চয়ই কাজল বঁচিয়া আছে, এবং সুখে থাকুক, দুঃখে থাকুক সে-ই এই শুক পাখীটি খজিতেছে।” এই মনে করিরা তিনি সূচি রাজার লোকের কাছে ধৰ্ম্মমতি শুক আনাইয়া দিলেন । সূচি রাজা অতিশয় আনন্দে বাড়ী ফিরিলেন। নকল রাণীকে তাহার ফরমাইন্সী দ্রব্যাদি দিলেন এবং কঙ্কণ-দাসীর হাতে শুক পাখীটি দিয়া র্তাহার মুখখানিতে যে আনন্দের দীপ্তি দেখিলেন, তাহাতে র্তাহার সমস্ত পরিশ্রম সার্থক মনে করিলেন । নকল রাণী ও কাজল রেখা রাজা বিদেশে গেলে মন্ত্রী রাজ কাৰ্য্য সম্বন্ধে অনেক কথাই রাণীকে জিজ্ঞাসা করিতেন ; রাণী সে সকলের কিছুই বুঝিত না, অথচ যা|’ তা বলিয়া একটা হুকুম জারি করিত। সেইরূপ ভাবেই মন্ত্রী কাজ করিতেন, রাণীর মৰ্য্যাদা তিনি লঙ্ঘন করিতেন না ; কিন্তু তাহাতে অত্যন্ত ক্ষতি হইত। এক দিন একটা বিপদের সম্মুখীন হইয়া মন্ত্রী কাজলের সঙ্গে পরামর্শ করিলেন, কাজল এমনই উৎকৃষ্ট উপায় বলিয়া উপদেশ দিলেন যে তাহাতে রাজ্যের সমস্ত বিপদ কাটিয়া গিয়া বরং ইষ্টই হইল। মন্ত্রী বুঝিলেন, কঙ্কণ দাসী কখনই নিম্ন শ্রেণীর কন্যা নহেন। কিন্তু আয় কোন পরিচয় পাওয়া গেল না। ইহার মধ্যে রাজার এক বন্ধু অতিথি হইয়া উপস্থিত হইলেন। সঁচু রাজা রাণীর উপর তাহার আতিথ্যের ভার দিলেন। নকল রাণী রাঁধিলেন ডোয়ার ঝাল, চালতার অম্বল, কচু শাক —তাহাতে লবন পড়ে নাই। রাজা বন্ধুর সঙ্গে খাইতে বসিয়া লজ্জিত হইলেন।