পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

等t町C预叫t 86 श्igडब्र कक्ष ग्रिा किनिनांभ लांगी । সে হইল ।রাণী আর আমি বনবাসী ৷ সত্য যুগের পাখী তুমি কহ সত্য বাণী কোন দিন পোহাবে মোর দুঃখের রজনী ॥” কাজলের কান্নায় ব্যথিত হইয়া শুক গদগদকণ্ঠে বলিল, “কাজল আর কঁাদিও না, তোমার বাপের বাড়ীর সমাচার বলিতেছি । তোমাকে বনবাস দিয়া এই দশ বছর তোমার পিতা বাণিজ্যে যান নাই । কঁাদিয়া কঁাদিয়া তোমার মা বাবার চক্ষু অন্ধ হইয়া গিয়াছে। দাসদাসীরা এই দশ বছর সর্বদা তোমারই কথা বলিয়া চোখের জল ফেলে। নিরপরাধ কন্যাকে বিনাদোষে ঘোর জঙ্গলে বনবাস দেওয়া হইয়াছে—এই সংবাদ যেন গৃহপালিত পশু পক্ষীরাও মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব করিয়াছে,-হাতী, ঘোড়া ঘাস জল খায় না, তাহাদের চোখে জল টল টল করে। যে দিন হইতে তুমি বাড়ী ত্যাগ করিয়াছ, সেই দিন হইতে তোমাদের পুরীতে সূৰ্য্যের আলো মলিন হইয়াছে, রাত্রে জ্যোৎস্না নাই :- “জালালে না জলে বাতি পুরী অন্ধকর” বনের পাখীগুলি আকাশে উড়িয়া উড়িয়া আৰ্ত্তনাদ করিতে থাকেবাপ মায়ের দুলালী কন্যার অভাবে সমস্ত পুৱী। শূন্য হইয়া গেছে। দশ বছর গিয়াছে ; আরো দুই বছর তোমার কপালে দুঃখ আছে। এই ভাবে রোজ রাতে কাজল শুকের কাছে আসিয়া কথাবাৰ্ত্তা বলে ; দুঃখীর দুঃখের কথা,-তাহা আর ফুরায় না। ইহার মধ্যে রাজার সেই বন্ধু কাজলের রূপ গুণ দেখিয়া মুগ্ধ হইলেন। তিনি খুব উচু দরের জ্ঞানী ছিলেন না, ধৰ্ম্মধৰ্ম্মের জ্ঞান ততটা ছিল না। তিনি ভাবিলেন, “এই কন্যা নিশ্চয়ই কোন রাজার বিয়ারী ;* কৰ্ম্মদোষে দাসীবৃত্তি করিতেছে। যদি ইহাকে কোনক্রমে আমি এই প্ৰাসাদ হইতে লইয়া যাইতে পারি, তবে আমি ইহাকে বিবাহ করিব।”

  • frரி-ஈலு