পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8V বাংলার পুরনারী নকল রাণীরও বিপদের অন্ত নাই। রাজা-কঙ্কণ-দাসীর প্রতি এতটা অনুরক্ত হইয়াছেন যে, তিনি মধু গন্ধে অন্ধ আলির ন্যায় সর্বদা কাজলের কাছে কাছে থাকেন-রাণীর দিকে ফিরিয়াও চান না। রাণী ঠিক করিল যে করিয়া হউক, কঙ্কণ-দাসীকে সেখান হইতে দূর করিয়া দিতে হইবে। রাজপত্নী ও রাজবন্ধুর উভয়ের উদ্দেশ্য এক হইল, তখন তাহারা ষড়যন্ত্র করিয়া কোন এক রাত্রে কাজলের ঘরের সিঁড়ির উপর সিন্দুর ছড়াইয়া রাখিল। রাজবন্ধু সেই সিড়ির উপর পদচারণ করিলেন -দুইটি স্পষ্ট পদ চিহ্ন হইল, তাহাতে বোঝা যায় যে কোন একব্যক্তি ঘরে ঢুকিয়া পুনরায় চলিয়া আসিয়াছে। পরদিন নকলরাণী চীৎকার করিয়া পুৱীটা মাথায় করিয়া তুলিল। রাজার কাছে প্রচার করিল, কঙ্কন দাসী কলঙ্কিনী । কাজলরেখা কলঙ্কিনী কাজল বলিলেন,- একলা করি নিশি রাইতে ঘরেতে শয়ন, কোন জন হৈল মোর এমন দুষমন । সাক্ষী হৈও দেব। ধৰ্ম্ম তোমরা সকলে সাক্ষী হৈও চন্দ্ৰ তারা দেখেছি সকলে ।” আর এই ঘরের বাতিটি সারারাত্ৰি জ্বলে, আমি ইহাকেই সাক্ষী করিাতেছি-কালকার রাত্রি সাক্ষী,-আর সাক্ষী কোথায় পাইব ? ঘরে থাকে শুক পাখী সাক্ষী মানি তারে । সেই ত বলুক ধৰ্ম্ম সভার গোচরে ।