পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(?e * বাংলার পুরনারী আমি নিম্পাপ হইয়া থাকি, তবে আমাকে উদ্ধার কর । কলঙ্কিনী জানিয়া স্বামী আমাকে ইহার হাতে দিয়াছেন বনবাস দিতে :- “भट्राब्र डे°एन छूटे जूनिग्राcछ श्राद्ध। সতী নারী হই যদি, সমুদ্রে পড়ােক চড়া।” সেই অব্যৰ্থ অভিশাপে, সতীনারীর উত্তপ্ত দীর্ঘশ্বাসে সমুদ্র দুলিয়া উঠিল, সেইখানে ধুধু বালির চড়া পড়িল, বণিকের ডিঙ্গা সেই বালিচরায় ঠেকিয়া उनद्ध उष्ल झूछेशा ब्रश्लि। মাঝি মাল্লারা বলিল “এই কন্যা ডাকিনী, ইহার মন্ত্রগুণে ডিঙ্গার এই দুৰ্গতি হইল। যে করিয়া হউক, ইহাকে এইখানে নামাইয়া দেওয়া হউক—নতুবা এই জনমানব-শূন্য বালির চরায় আমরা অনাহারে শুকাইয়া মরিব । সাধুর অনেক প্ৰতিবাদ সত্বেও লোকজনেরা কন্যাকে সমুদ্রের চরায় নামাইয়া দিল, তখন সত্যসত্যই আচল ডিঙ্গা পুনরায় জলপথে চলিল। বণিক নিরাশার ঘোরে ঐকান্তিক মনোবেদনায় সেই বালির চরায় বিসজিত রূপসীর দিকে চাহিয়া রহিলেন । দেখিতে দেখিতে সেই নির্জন চরাভূমি তাহার দৃষ্টিপথের বাহিরে চলিয়া গেল। ধনেশ্বর সাধু মরিয়া গিয়াছেন, কন্যার শোকে তিনি জীবন্মত হইয়াছিলেন, এবার উপর হইতে র্তার ডাক পড়িয়াছে। রত্নেশ্বর যৌবনে পদার্পণ করিয়াছেন, তিনি বাণিজ্য করিবার জন্য সমুদ্র পথে ডিঙ্গা বহাইয়া দিলেন। কত গ্রাম-প্ৰান্তর ঘুরিয়া ভাটীরবাগে একটি বিস্তৃত চরায় আসিয়া ঝড়ের মুখে ডিঙ্গা ঠেকিল। হুহু করিয়া বাতাস বহিতেছে, ডিঙ্গি খালি টলমল করিতেছে, মাঝি মাল্লারা বহু কষ্ট ডিঙ্গি