পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

đS বাংলার পুরনারী দুঃখের কারণ জিজ্ঞাসা করে, কিন্তু সেই স্তব্ধ দেবী মূৰ্ত্তির ন্যায় বিষন্ন কন্যা কোন কথা বলেন না । একদিন রত্নেশ্বর স্বয়ং আসিয়া তাহাকে বলিলেন, বিধুমুখী কন্যা তুমি সমুদ্রের চরায় ভাটীবাগে পড়িয়াছিলে “ভাটী বাগে* পড়েছিল সমুদ্রের চরে। তথা হইতে রূপসী কন্যা উদ্ধার করলাম তোরে ৷ হাঙ্গর কুমীর তোমায় করিত ভক্ষণ । বাড়ীতে আনিলাম, তোমা করিয়া যতন ৷” “আমি বিবাহ করি নাই, তুমি যদি অনুমতি দেও আমি কালই তোমাকে বিবাহ করিয়া জীবন সার্থক করি ; বস্তুতঃ আমি এজন্য উদ্যোগের ক্ৰটি করি নাই, আমার পিতা মাতা নাই, সুতরাং আমার বিবাহ কাহারো মতের প্রতীক্ষা করিবে না। আত্মীয় বন্ধু, জ্ঞাতি সকলকে খবর দিয়া আনাইয়াছি, পুরোহিত সমস্ত আয়োজন পত্র ঠিক ঠাক করিয়া রাখিয়াছেন, বাজনাদার, গায়ক ও যন্ত্রধারী-বাদ্যকর সকলেই উপস্থিত আছে। এখন তোমার মত হইলে কালই আমাদের বিবাহ হইতে পারে। এখানে আমাদের কোন দুঃখ বা অসুবিধা নাই, বাসর ঘর নানারূপ স্বর্ণ পালঙ্ক ও তৈজসপত্ৰে সাজাইয়াছি। দাস দাসী মঙ্গলাচরণে নিযুক্ত হইয়াছে, আমি শুধু তোমার মতের প্রতীক্ষা করিয়া আছি।” কাজল উত্তরে বলিলেন, “কুমার আমার বিবাহের একটা সৰ্ত্ত আছে, তাহা তোমাকে পূরণ করিতে হইবে। আমার বংশ পরিচয়, পিতা মাতা কে-ইহার কিছু না জানিয়াই তুমি আমাকে বিবাহ করিতে চাহিতেছ ? আমি হাড়ি কি ডোমের কন্যা। এ সকল তো জানা চাই, তাহা না জানিয়া বিবাহ করা বৈধ হইবে না।” রত্নেশ্বর বলিলেন “যাহার এমন চাঁদের মত মুখখানি, এত রূপ যার সে কখনও কি হাড়ি ডোমের কন্যা হয়!! আচ্ছা, তুমি তোমার বংশ পরিচয় আমাকে বল, তোমার পিতা মাতা কে ? কেনই বা একাকী তুমি নলখাগড়ার চরায় পড়িয়াছিলে ?” /

  • ख्ाफ्नोि बाcगं-ननौब्र प्रक्qि ठिक आीिव्र भूgथ ।