পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজল রেখা div) কাজল বলিলেন, “কুমার আমি দশ বছরের সময় বাড়ী ছাড়িয়াছি, সে সময় আমার বংশের পরিচয় জানার কথা নহে। সূচি রাজার ঘরে একটি শুকপাখী আছে, তাহার নাম ধৰ্ম্মমতি। সেই পাখী আমার সমস্ত কথা জানে এবং সেই আমার বিবাহের ঘটকালি করিবে। তুমি তাহাকে খোজ করিয়া আন-সেই সৰ্ব্ব সমক্ষে আমার পরিচয় দিবে।” এই কথা শুনিয়া রত্নেশ্বর দেশ বিদেশে ধৰ্ম্মমতি শুকের খোজে লোক পাঠাইলেন। সূচি রাজার দেশে এক ডিঙ্গি বোঝাই ধনরত্ন লইয়া শুক পাখীর খোজে লোকজন রওনা হইল। সূচি রাজার দেশে আসিয়া রত্নেশ্বরের দূতেরা দেখিলেন, রাজা দেশান্তরী হইয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছেন। কঙ্কণ দাসী ধনের লোভে রত্নেশ্বরের দূতদের কাছে শুক পাখী বিক্রয় করিল। ধৰ্ম্মমতি শুক কর্তৃক পরিচয় দান এদিকে কাজল রেখাকে বাড়ী হইতে নির্বাসন করিয়া সূচি রাজা একবারে পাগল হইলেন, তিনি বাড়ী ঘর ছাড়িয়া রাজ্যে রাজ্যে দেশ বিদেশে তাহার হারাণে রত্নটি খুজিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। রত্নশ্বরের মুলুকে আসিয়া শুনিলেন রাজা চরায় কুড়াইয়া একজন পরী লইয়া আসিয়াছেন, ধৰ্ম্মমতি শুকের নিকট তাহার পরিচয় লইয়া তিনি আজই তাহাকে বিবাহ করিবেন। রাজসভায় ভয়ানক ভীড় হইয়াছে। রাজ সভায় একটা বনেলাঙ্ক পক্ষী সেইজন পরীর পরিচয় দিবে, তখন বহু রাজা ও রাজপুত্র এই আশ্চৰ্য্য কাণ্ড দেখিবার জন্য রত্নেশ্বরের বাড়ীতে উপস্থিত হইয়াছেন। সভার এক কোণে সূচি রাজাও পাখীর মুখে এ অলৌকিক কাহিনী শুনিতে বসিয়া ८८० ||

  • マびR列|ーマ可