পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दांड्ड्या ८इथ (26. করিতেছিলেন, এমন সময় একটি বৃদ্ধ তাহার কন্যা বিক্রয় করিতে সেখানে আসিল। বৃদ্ধ একটি চাষা, তাহাকে নিজ হাতের কঙ্কণ দিয়া কাজল কন্যাটিকে ক্রিয় করিয়াছিলেন। পিতা হইয়া কন্যাকে বিক্রয় করিতেছে, ইহা শুনিয়া কন্যাটির প্রতি তাহার আন্তরিক সহানুভূতি হইয়াছিল। কিন্তু কন্যার ছিল আসুরিক বুদ্ধি, সে কাজলের কাছে সমস্ত অবস্থা শুনিয়া তাড়াতাড়ি মন্দিরে ঢুকিয়া রাজার চােখের সূচি নিজেই তুলিয়া ফেলিয়া সন্ন্যাসী দত্ত পাতার রস তাহার চক্ষে দিল । রাজপুত্র পুনরায় জীবনলাভ করিলেন, তখন এক অশুভ মুহুৰ্ত্তে সেই কঙ্কণ দাসীকে তঁাহার। প্ৰাণদাত্রী মনে করিয়া তাহাকে বিবাহ করিতে প্ৰতিশ্রুতি দিলেন । এমন সময় সুসানান্তে লক্ষ্মী প্ৰতিমার ন্যায় কাজলরেখা মন্দিরে প্রবেশ করিলেন । সুচ রাজার প্রশ্নের উত্তর দিবার পুর্বেই কঙ্কণদাসী অগ্রসর হইয়া কাজলরেখার পরিচয় দিল, সে বলিল “এটি আমার দাসী, আমি কঙ্কণ দিয়া ইহাকে ক্ৰয় করিয়াছি, ইহার নাম কঙ্কণদাসী ।” এই কথা বলিতে বলিতে বৃদ্ধ শুকের চক্ষের জল আর থামে না,- কঙ্কণদাসী এইভাবে রাণী হইল এবং প্ৰকৃত রাণী তাহার দাসী হইলেন ; কাজলকে দাসী যত দুঃখ দিয়াছে, তাহা বৰ্ণনা করিতে যাইয়া গদগদকণ্ঠে অশ্রুপূৰ্ণচক্ষে পাখী সব কাহিনী বর্ণনা করিতে লাগিল ; তাহাতে সভার সকল লোক কঁাদিয়া উঠিল। তারপরে কি ভাবে বৃথা অভিযোগ করিয়া কলঙ্কিনী করিয়া তঁহাকে সেই সদাগর যে ভাবে সমুদ্রের চড়ায় ফেলিয়া আসিয়াছিল, শুক তাহার একটা বিবৃতি দিল । এই সময়ে সুইচ রাজা সম্পর্কে ও শুক এক অলৌকিক কাহিনী শুনাইল । চাম্পা নগরের রাজমহিষী এই মৃত কুমারকে প্রসব করেন। এক সন্ন্যাসীর উপদেশে এই মৃত কুমারকে সেই ভাটি অঞ্চলের ভাঙ্গা মন্দিরে রাখা হয়, সন্ন্যাসীর বরে দেহের শ্ৰী তাহার থাকিয়া যায় এবং দেহের বৃদ্ধি স্থগিত হয় না । সন্ন্যাসী ইহার সর্বাঙ্গে সূচি বিধাইয়া ভাঙ্গা মন্দিরে রাখিয়া যান এবং তাহারই কথায় কাজল ইহার শল্য উদ্ধার করেন । সর্বশেষে শুকপাখি বলিলেন, রত্নেশ্বর কাজলকে বিবাহ করিতে চায়।