পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vbro বাংলার পুরনারী কালে কিষ্ট মোর যা করেন। গতি।” কমলা একটু অনুতপ্ত হইয়া হাসিয়া কথা কহিল। চিকন উৎসাহিত হইয়া বলিতে লাগিল-“তোমার মত সুন্দরী কন্যার এখনও বিবাহ হইল না-যৌবন চলিয়া গেলে কি ভাল বর পাইবে ? “আধারে বসিয়া কন্যা থাকহ অন্দরে, বিয়া যদি হ’ত তোমার বন দুর্গার বরে। ভাল দৈ আন্যা দিতাম খুলী কৰ্ত্তাম বরে ৷” ক্ৰমে চিকন গোয়ালিনীর রসিকতার ফোয়ার ছুটিল এবং সময় বুঝিয়া সে একটা আখ্যানের ছলে কারকুণের কথা পড়িল। তাহার নাম করিল না, কিন্তু তাহাকে কল্পিত কোন দেবতা বলিয়া তাহার রূপ গুণের ব্যাখ্যা করিতে লাগিল। কমলাও এগুলি শুধুই রহস্য মনে করিয়াছিল। কিন্তু যখন চিকন মুখ টিপিয়া হাসিয়া কমলাকে কারকুণের প্রণয়-পত্ৰখানি হাতে দিল, তখন ফুলবনে আগুণ লাগিলে যেরূপ রক্তরাগে বাগানের সমস্তটা রঞ্জিত হইয়া উঠে, তাহার মুখমণ্ডলে, সমস্ত দেহে,-এমন কি তঁহার চেলাঞ্চলে পৰ্য্যন্ত রক্তের আভা খেলিতে লাগিল ; সে একটা থাপড় মারিয়া চিকানের পড়ন্ত দাতগুলি ফেলাইয়া দিল এবং এমন প্ৰহার করিল যে সেই রূপসী মূৰ্ত্তি যেন মহিষমৰ্দিনী রূপ পরিগ্ৰহ করিল। ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে চিকনকে দগ্ধ করিয়া কমলা বলিল “কারকুনে কহিস তার মুখে মারি ঝাটা । বাড়ীর চাকর হৈয়া এত বুকের পাট । পায়ের গোলাম হৈয়া শিরে উঠতে চায় গোবরা পোক পদ্মমধু খাইবার যায়।” চুপি চুপি গোয়ালিনী আসিল বাহিরে शस्ठ वांश्भि। डाब्र ब्रखक्षांब्रां दgद्ध ॥” এদিকে কারকুণ বড় আশা করিয়া চিকনের পথের দিকে চাহিয়া রহিয়াছিল ; পথের লোকেরা গোয়ালিনীকে তাহার ভাঙ্গা দাতা ও রক্ত-পাত সম্বন্ধে কত প্ৰশ্নই না করিয়াছিল,