পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bकe८द्धढ़ कg AS কারকুণের উপদেশ অনুসারে সুধন তখনই এক থলিয়া মোহর লইয়া রঘুপুর রাজধানীতে রওনা হইয়া গেল। রাজা বলিলেন “তোমার পিতা সাত ঘড়া মোহর আত্মসাৎ করিয়া কোথায় রাখিয়াছেন, তাহা তুমি অবশ্যই জানি।” * সুধন বহু মিনতি করিয়া বলিল, “এখবর সম্পূর্ণ মিথ্যা !” কারকুণের কথামত রাজাকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য মোহরের থলিয়াটি নজর স্বরূপ দেওয়া হইয়াছিল; ফল উল্টা হইল, রাজার ধারণা বদ্ধমূল হইল যে চাকলাদার নিশ্চয়ই মোহর পাইয়াছে, সেই মোহর হইতে এই থলিয়া আমাকে দিয়া আমার রাগ দূর করিতে চেষ্টা করিতেছে। তিনি সুধনকে বলিলেন, “এ কয়েকটি মোহরে কি হইবে ? তুমি সমস্ত মোহর আমাকে দাও—তাহা হইলে আমি তোমার পিতার বিষয় বিবেচনা করিতে পারি।” সুধন যতই অস্বীকার করিতে লাগিল ততই রাজার ক্ৰোধ বাড়িয়া চলিল। অবশেষে তিনি সেই বালককেও বন্দীশালায় শৃঙ্খলিত করিয়া রাখিতে আদেশ দিয়া বিরক্তির ভাবে দরবারগৃহ ত্যাগ করিলেন। পিতা-পুত্ৰকে গৃহ হইতে এইভাবে বিতাড়িত করিয়া কারকুণ—সেই অঞ্চলের বাকী খাজনা খুব জোরে আদায় করিতে লাগিয়া গেল। অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর খাজনা আদায় করাতে রাজা কারকুণের দক্ষতার পরিচয় পাইয়া সন্তুষ্ট হইলেন এবং মানিক রায়ের স্থলে তাহাকেই চাকলাদারের পদে নিযুক্ত করিলেন। এইভাবে সমস্ত অঞ্চলের সর্বময় কৰ্ত্ত হইয়া কারকুণ-কমলার সঙ্গে দেখা করিয়া তাহার নিজের গুণপণার অনেক ব্যাখ্যা করিতে লাগিল এবং চাকলাদারীপাদের নিয়োগ পত্ৰখানি কমলাকে দেখাইয়া বলিল :- “কমলা, আমি চাকলাদারী পাইয়াছি, এই দেখ হুজুরের আদেশ । এখন তোমার কাছে আমার প্রস্তাব-তুমি আমাকে বিবাহ কর, চাকলাদারী কাজে বহাল থাকিয়া আমি তোমার সেবা করিব, দুজনে পরম সুখে জীবন যাপন করিব। আর যদি সম্মত না হও, তবে আমি