পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ বাংলার পুরনারী তোমার এমন হাল করিব যে, তোমার দুঃখ দেখিয়া গাছের পাতা পৰ্য্যন্ত ঝরিয়া পড়িবে।” “আর এক কথা,-যে ঘর-বাড়ীতে তোমরা আছে তাহ রাজার। আমি এখন চাকলাদার-সুতরাং এ বাড়ী ঘর আমার অধিকারে । আশা করি। তুমি বিবাহে সম্মত হইবে, তাহা হইলে এই বিশাল প্ৰাসাদ তোমারই অধিকারে থাকিবে, অন্যথা তোমাদের এখানে থাকা চলিবে না । তোমাকে শীঘ্রই স্থানান্তরে যাওয়ার ব্যবস্থা করিতে হইবে।” একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত কমলা জ্বলিয়া উঠিল এবং কারকুণকে “পশুর অধম, নর পিশাচ প্ৰভৃতি নামে অভিহিত করিয়া ভৎসনা করিল, কমলা বলিল “আমার বাপের লুন খাইয়া বাচিলি পরাণে তার গলায় দিতে দড়ি না বাধিল প্ৰাণে । পরাণের দোসর ভাইয়ে যে সব দুঃখ দিল” —এই পাপিষ্টের মুখ দেখিলে পাপ হয় ; আমরা মায়ে বিয়ে ভিক্ষা করিয়া খাইব, গাছের তলায় শয়ন করিব-তবু তোর এই ঘূণ্য বাড়ীতে থাকিব না।” উদ্ধতভাবে কারকুণকে বিদায় করিয়া দিয়া কমলা অধি সাদি নামক দুই ভাইকে ডাকিয়া পাঠাইল । ইহারা দুইজন এই পরিবারে বহু কালাবধি পান্ধী-বেহারিার কাজ করিতেছে। এই দুই বিশস্ত ভূত্য কমলা ও তাহার মাতাকে সেই দিনই কমলার মাতুলালয়ে পৌছিয়া দিল । এই সংবাদ পাইয়া কারকুণ তখন সেই মামাকে চিঠি লিখিল— “আপনার ভাগিনেয়ী কমলা অতি দুশ্চরিত্রা, কোন চণ্ডাল যুবকের সঙ্গে তাহার আসক্তির কথা প্ৰকাশ হইয়া পড়াতে সে নিজের দেশে না থাকিতে পারিয়া তাহার মাতাকে লইয়া আপনাদের বাড়ীতে গিয়াছে। কিন্তু আপনি জানিয়া রাখুন, যদি এই কুলকলঙ্কিনীকে আপনার বাড়ীতে আশ্রয় দেন, তবে আপনার ধোপা-নাপিত বন্ধ হইবে এবং পুরোহিত আপনার বাড়ীতে পূজা করিবে না। এই বিষয়টির গুরুত্ব আপনি বিশেষ