পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাকলাদারের কন্য ፋዕ ७कदांझ न डांदिल कg| केि श्रद 6भांश १डि । একেল পথেতে পড়ি কি হবে দুৰ্গতি ৷ BBBDD D DDBD DKS DBD DS সন্ধ্যা কালে তারা ফুটে, সূৰ্য্য ডুবে ডুবে । এই কাল-রজনী সম্মুখে করিয়া-কমলা বনজঙ্গলের পথে রওনা হইল। তাহার সর্বাপেক্ষা কোমল স্থানে-নারীমৰ্য্যাদায় ঘা পড়িয়াছে। সহিষ্ণুতা নারীচরিত্রের ভূষণ, কিন্তু এই সহিষ্ণুতা সর্বত্ৰ প্ৰশংসীয় নহে। এমন সময় জীবনে আসে, যখন সহ্য করার প্রশ্নই উঠে না, তখন মানুষকে সর্বস্ব পণ করিয়া দাড়াইতে হয়—তখন-খুড়ো, কাকা, বাবার পরামর্শের প্ৰতীক্ষা করিলে মনুষত্বের গৌরব নষ্ট হইতে পারে,-তখন ভবিষ্যৎ ভাবিয়া অপেক্ষা করিয়া থাকিলে নৈতিক বল-বিদ্যুত হইয়া মানুষ একবারে হীন-বীৰ্য্য ও অধম হইয়া পড়ে। কমলা চূড়ান্ত বিপদ সহা করিয়া যে অকুতোভয়তা দেখাইয়াছে।--তাহা তাহার নারী-প্ৰকৃতিকে দেবী-মহিমা-মণ্ডিত করিয়াছে—তাহার তেজ, সাহস ও পণ প্ৰকৃতই বীরাঙ্গনার মত। এ দেশে নারী ও পুরুষ সেই তেজস্বিতা ও সাহস হারাইয়াছে—তজন্য আমাদের এত দুৰ্গতি । কমলার চরিত্রে এমন উপাদান আছে, যাহা হইতে আমাদের ভণ্ড ভীরু সাধুরা কিছু শিক্ষালাভ করিতে পারেন, মৰ্য্যাদা-হীন জীবন একবারে রিক্ত । একসময় জ্ঞানীর ধীর পাদক্ষেপ ও সতর্কতা প্ৰশংসনীয় কিন্তু অন্য সময়ে তাহা ভীরুতা ও জাতীয় অধোগতির লক্ষণ । এই সন্ধ্যাকালে কমলা “বনদূৰ্গা”কে স্মরণ করিয়া পথে চলিতে व्लांक्रिॉब्ल :- "আঁখি জলে ভরে, কন্যা নাহি দেখে পথ । বারে বারে চক্ষু মুছে, নাহি চলে রথ ॥” ক্ৰমশঃ নিৰ্জন রাস্তায় আঁধারের ঘোরে কমলা এক বিস্তৃত হাওরের* ধারে আসিয়া পড়িল। কখনও পথ পৰ্য্যটনের অভ্যাস নাই, আঁধার পথে একবার উঠিতেছে, একবার বসিতেছে—তাহার দেহে আর শক্তি নাই।

  • হাওর = নল খাগড়াপূর্ণ বিলা জায়গা।