পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sviv y ής একদিন এক শিকারী সেই মহিষালের কুটিরে উপস্থিত হইলেন। তিনি তরুণ বয়স্ক, অতি সুদৰ্শন,-শরীরের বর্ণ র্কাচা সোণার মত এবং সেই অঙ্গে স্বৰ্ণময় পোষাক ঝলমল করিতেছিল। তাহাকে কোন রাজার ছেলে বলিয়া মনে হইল। বৃদ্ধ মহিষালকে এই কুমার বলিলেন :-“আমি কুড়া শিকার করিতে জঙ্গলে গিয়াছিলাম। বড়ই পরিশ্রান্ত হইয়া পড়িয়াছি, আমাকে একটু জল দিয়া প্ৰাণ বঁাচাও, তৃষ্ণায় কথা পৰ্য্যন্ত বলিতে পারিতেছি না।” কমলা গাছের পাতার পাত্রে জল দিয়া গেল । সমস্ত জলটা এক নিশ্বাসে পান করিয়া অতিথি বলিলেন :- “এই যিনি আমাকে জল দিয়া গেলেন ইনি তোমার কে ? ইহাকে দেখিয়া কোন রাজকুমারী বলিয়া মনে হইতেছে, ইহার পিতামাতা কে ? তুমি ইহাকে কিরূপে পাইলে ? ইনি বিবাহিতা বা কুমারী ? অথবা কোন জন্মের তপস্যার ফলে দেবতার বরে তুমিই ইহাকে কন্যারূপে পাইয়াছ ?” মহিষাল বলিল-“আমি ইহার পরিচয় জানি না। আমি ইহাকে স্বয়ং লক্ষ্মী বলিয়াই মনে করি ; হয়ত কোন দেবতার প্রসাদে ইনি আমাকে কৃপা করিয়াছেন। যে কয়েকদিন যাবৎ ইনি আমার কুটিরে পায়ের ধূলা দিয়াছেন, তদবধি আমার ভাগ্য ফিরিয়াছে, বহুদিনের বন্ধ্যা মহিষ গাভীন হইয়াছে। আমার গোয়ালে দুধ ও দৈ চারগুণ বাডিয়াছে, আমার এই ঘরে যেন আনন্দের ঢেউ বহিয়া যাইতেছে। শেষের কয়টা দিন বোধ হয় আমার সুখেই কাটিবে।” কুমার বলিলেন, “তুমি ইহাকে আমায় দাও, আমি ধামা ভরিয়া তোমাকে ধন মণি-মুক্ত দিব, বাবাকে বলিয়া তোমাকে চৌদ্দ ‘পুৱা।” জমি দিব ; তোমার কোন অভাবই থাকিবে না।” মহিষাল এই কথা শুনিয়া অতি আৰ্ত্তকণ্ঠে বলিল, “আমি ধন-দৌলত ও চৌদ্দ পুরা জমি চাই না। আমি আমার মায়ের প্রসাদে সবই পাইয়াছি। এই কয়টি দিনে আমি এত সুখী হইয়াছি যে, বাড়ীতে দেবতা প্ৰতিষ্ঠা