পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qtw বাংলার পুরনারী করিলে কেউ এত সুখী হয় না। ইহাকে ছাড়িয়া দিলে আমার জীবন দুঃসহ হইবে।” সারাদিন বাদানুবাদ চলিল, অবশেষে মহিষাল রাজী হইয়া বলিল, “আমি বিনিময়ে কিছু চাই না-মা যেন আমায় আশীৰ্ব্বাদ করেন এবং অন্তিম কালে ইহার পাদ-পদ্মে যেন মাথা রাখিয়া মরিতে পারি।” বলিতে বলিতে বৃদ্ধ কঁাদিয়া ফেলে,-অবিরত বর্ষণশীল দুটী চোখের জলে তাহার উঠানের উলুখড় ভিজিয়া গেল। কন্যাকে লইয়া কুমার নিজের দেশে চলিয়া গেলেন। রাজবাড়ীতে কমলা আসিয়া তথাকার ঐশ্বৰ্য্য ও বৈভব দেখিয়া চমৎকৃত হইল। কিন্তু দিবা রাত্রি মাতার বিরহে সে কঁাদিতে থাকিত। দুর্ভাগা মাতাকে না কহিয়া না বলিয়া সন্ধ্যাকালে ছাড়িয়া আসিয়াছে,-ভয় হইল, তাহার পলায়ন-মিথ্যা কলঙ্ক কথার সঙ্গে জড়াইয়া লোকে কত রকম ব্যাখ্যাই যেন করিতেছে! মাতার লাঞ্ছনা ও অপমানের কথা আশঙ্কা করিয়া কমলা মরমে মরিয়া আছে। কুমার যখনই কমলার কক্ষে প্ৰবেশ করেন, তখনই দেখেন পালঙ্কের উপর বসিয়া গালে হাত দিয়া সে কঁাদিতেছে। কুমার আদর করিয়া তাহাকে কত কথাই বলিতে থাকেন। “তুমি কে পরিচয় DDDS DBDD BB BBSDDD DB DBBD DB DDDSS BBDBB iB সখের বাগানে কোন ফুল ফুটিলে, কোন লতা ও গাছের কুঁড়ি হইলে নিত্য উষাকালে আমি তাহা দেখিতাম-কতদিন হইল আমার সে বাগানের কথা একটিবারও মনে হয় না । শিকারে যাওয়া আমার সর্বপ্রধান আমোদের বিষয় ছিল। কিন্তু সেই যে আসিয়াছি, তদবধি শিকারে যাওয়া ছাড়িয়াছি। বন্ধুদের সঙ্গ এখন আর ভাল লাগে না ; তোমাকে আমি আমার গলার হার করিয়া রাখিব, মণি-মুক্ত জ্ঞানে যত্ন করিব, তোমার পরিচয় দাও, আমি তোমাকে বিবাহ করিয়া সুখী হই। কি দুঃখে তোমার চক্ষে দিন রাত অশ্রু ঝরিয়া পড়ে, তোমার দুঃখ দেখিলে যে আমার প্রাণ বিদীর্ণ হয়, তুমি সে কথা আমায় বল, আমি প্ৰাণ দিয়া তোমার দুঃখ মোচন করিতে চেষ্টা করি।”