পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

KqpOMit66 <pgU Wyw) নিজের সম্পর্ক ও পরিচয় সম্বন্ধে কোন ইঙ্গিত না দিয়া কমলা তাহার মাতুল ও মাতুলানীকে উপস্থিত করিতে অনুরোধ করিল। ইহা ছাড়া “মহিষাল বন্ধুকে তুমি আন শীঘ্ৰ করি। আমাকে পাইয়া ছিলে তুমি যার বাড়ী ৷” এই সকল লোক উপস্থিত হইলে ধৰ্ম্মসভায় আমি আমার পরিচয় দিব । রাজসভা সরগরম ; এতগুলি সাক্ষী মান্য করিয়া প্ৰদীপ-কুমার কর্তৃক রাজ-অন্তঃপুরে আনিত অনিন্দ্য সুন্দরী তরুণী নিজের পরিচয় ও অভিযোগ শুনাইবে। এদিকে রাজপুরীতে রক্ষাকালীর পূজার উপলক্ষে নর বলির বাজনা বাজিতেছে। নানারূপ কৌতুহলে রঘুপুরের লোকদের চক্ষের ঘুম উড়িয়া গিয়াছে। রাজসভার এক কোণে দাড়াইয়া কমলা তাহার দুঃখের কথা নিবেদন করিতেছে, তাহার। আৰ্ত্ত কণ্ঠের ধীর ও করুণ সুরে ধৰ্ম্ম-সভা নিস্তব্ধ হইয়া গেল ! “অভাগিনীর দুঃখের কথা আপনারা শুনুন” এই বলিয়া কমলা চন্দ্ৰ-সূৰ্য্য, গ্ৰহ-উপগ্রহদিগকে সাক্ষী মানিয়া, পশু পক্ষী কীট পতঙ্গকে সাক্ষী করিয়া বলিল “আমার সাক্ষী ইহারা-ইহারাই সকল জানে”, অদূরে রক্ষাকালীর মন্দির,- যোড় হস্তে মন্দিরকে প্ৰণাম করিয়া বলিল, “মা আমার প্ৰতি গৃহে প্ৰতি ঘটে আছেন—সেই জগন্মাতা আমার সাক্ষী।” কাৰ্ত্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্ৰভৃতি দেবতাকে কমলা সাক্ষী মান্য করিল। যে অগ্নি মানুষের সর্বকাৰ্য্যের সহায়-যে জল মানুষকে জীবিত রাখিয়াছেসেই সর্বত্র পূজিত জল ও অগ্নিকে কমলা সাক্ষী মান্য করিয়া বনের অধিষ্ঠাত্রী বন-দেবতাকে প্ৰণাম করিল। দেবতা দিগকে ও আকাশ ও পৃথিবীর সকল প্ৰাণীকে কমলা ধৰ্ম্ম-সভায় সাক্ষী মান্য করিয়া পিতা ও মাতাকে সাক্ষী করিল এবং প্ৰাণের ভাই সুবলকে সাক্ষী মান্য করিবার সময় চোখের জলে ভাসিতে লাগিল । পরিশেষে সন্ধ্যা-তারাকে সাক্ষী করিয়া বলিল—“তুমি জগতের সকল বস্তুর দিকে চাহিয়া আছ, আমার সমস্ত কাজ তুমি নির্বাক দৃষ্টিতে SS