পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ryo বাংলার পুরনারী “মনের আগুণ মোর মনে জলে নিতে । আর কত দুঃখ মোর পরাণে সহিবে ?” ইহার মধ্যে একদিন দেখিলাম, নগরের মধ্যস্থলে বহু নরনারী একত্র হইয়া উৎসব করিতেছে-তাহাদের সকলেই নববস্ত্ৰ পরিহিত এবং আনন্দে উৎফুল্ল, তাহদের কেহ গাহিতেছে, কেহ নাচিতেছে, তাহদের মিষ্ট কলরব বাতাসে ভাসিয়া আসিতেছে। দাসদাসীদের যার যে বেশভূষা ছিল, তাহা পরিয়া কি উৎসব করিতেছে! এই বাদ্যগীতি ও ঢোলের বাজনা কিসের জন্য জিজ্ঞাসা করিলাম। শুনিলাম ঃ “শ্রাবণ সংক্রান্তে রাজা-মনসারে পুজো” আমার দুচক্ষু ছাপিয়া জল উথলিয়া উঠিল, বুকে যেন শক্তিশেল বিঁধিল । এই শ্রাবণ সংক্রান্তিতে আমাদের বাটিতে কি ঘটা করিয়াই না দেবীর পূজা হইত। “এখন বাপের বাড়ীর মণ্ডপ শূন্য কেবা পূজা করে ? অভাগিনী মা আমার কেঁদে কেঁদে ফিরে । ५qक७ नl cथिgन श्ड °ां?'विनी । সন্ধ্যাবেল ছাড়ি আইলাম। আমি অভাগিনী । ভাদ্র মাসে তালের পিঠা খাইতে মিষ্ট লাগে। দরদী মায়ের মুখ সদা মনে জাগে ॥” দিনের বেলা আমার চক্ষু অশ্রু বিসর্জন করিত। আর রাত্রে সকলই আমার চক্ষে অন্ধকার বোধ হইত। ভাদ্রমাসের চাঁদনি এমন উজ্জল -সমুদ্রের তলদেশ পৰ্যন্ত সেই চাঁদনীতে দেখা যায় :- “ভদ্রমাসের চারি দেখায় সমুদ্রের তলা । সেও চাদনী অাঁধার দেখি কঁাদিত কমলা।” ভাদ্র মাস গেল, আশ্বিন মাসে দেবীপূজার ধুম পড়িল। চারদিকে আনন্দের হিল্লোল, জলে স্থলে আনন্দের ছবি ভাসিয়া বেড়াইতে লাগিল।