পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se বাংলার পুরনারী রাণী দেবীর মন্দিরে যাইতে সাজ-সজা করিতে লাগিলেন । আমি এক অজ্ঞানের মত নিজের কক্ষে আসিয়া বিছানায় পড়িয়া রহিলাম :- “আচল ধরিয়া মুছি নয়নের পানি উপায় না দেখি মোর, আমি অভাগিনী ।” এই সময়ের সাক্ষী রাজপুত্ৰ স্বয়ং ; আমার কক্ষে আসিয়া পুনরায় বলিলেন—“আমার সঙ্গে বিবাহে সম্মতি দাও, আমাকে পরিচয় দিয়া আমার প্ৰাৰ্থন পূর্ণ কর।” আমি সে কথার উত্তর না দিয়া বলিলাম :- “আজ কেন রাজপুরে আনন্দের রোল, किंग्ट्र व्ग:क्रिांश उत्रांख्रि दांड् फ्रांक ८ांब्ल ।।” কহিলা রাজার পুত্ৰ মনেতে ভাবিয়া, “কালী পূজা করে বাপে নরবলি দিয়া।” আমি বলিলাম—“আজ রাজপুত্ৰ, তোমাকে নিজের পরিচয় দিব,- তুমি বহুবার যাহা জিজ্ঞাসা করিয়াছ, তাহা আজ সকলই শুনিবে ; কিন্তু এখানে নহে, চল দেবীর দুয়ারে, যেখানে কোচ চুলিরা নরবলির বাদ্য বাজাইতেছে।” কুমার আগে আগে চলিলেন, আমি তাহার পিছু পিছু চলিয়া এখানে আসিয়াছি, আমার বাপ ভাই বন্দীবেশে এখানে আছেন ; আমার অভাগিনী জননী এই ধৰ্ম্ম-সভায় সাক্ষী হইয়া আসিয়াছেন, মহারাজ তুমি নরবলি দিবে, কিন্তু আগে প্রকৃত বিচার কর-তার পর রক্ষাকালী পূজা করিবে ।” এই বলিয়া কমলা পরিশ্রান্ত ও শোকাহত হইয়া সেইখানে বসিয়া পড়িল। শ্রোতৃবৰ্গ, মন্ত্রীমণ্ডলী ও স্বয়ং রাজা সেই করুণ দেবী-প্ৰতিমার বুক-ফাটা দুঃখে অভিভূত হইয়া পড়িলেন। রাজা বিচার গৃহে সিংহাসনে বসিলেন, সভাসদ ও মন্ত্রীরা যথাযোগ্য স্থানে আসন লাইলেন, সর্বপ্রথম কারকুণের ডাক পড়িল। রাজা ক্রুদ্ধ