পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bकब्दूद्ध कeg DS) হইয়া তাহাকে গুরুতর অভিযোগের উত্তর দিতে বলিলেন। তাহার নিজ হাতের লেখা চিঠি-সুতরাং উত্তর দিবার তাহার কিছু ছিল না ; আকাশ ভাঙ্গিয়া মাথায় পড়িলে যেরূপ হয়-বজাহত ব্যক্তির মত সে স্তব্ধ হইয়া শুধু কঁাদিতে লাগিল। তার পর চিকন গোয়ালিনীর জবানবন্দী, রাজা তাহার র্দাত কিরূপে ভাঙ্গিল জিজ্ঞাসা করিলেন । প্ৰথমতঃ সে থতমত করিয়া বলিতে চাহিল “সান্নিকে পড়িল দন্ত আর নাহি জানি”- তার পর যখন রাজার ইঙ্গিতে যমদূতের মত কোটাল যাইয়া তাহার চুল ধরিল, তখন উপায় না দেখিয়া কারকুণকে গালি পাড়িতে व्लांब्नि :- ‘°हए कि cजथा छिल नांश् िस्रांनेि डांब्र । দোষ ক্ষমা দিয়া মোরে করাহ নিস্তার ।” আন্দি-সান্দি দুইভাই তাহদের সাক্ষ্যে বলিল, তাহারা কমলা ও তাহার মাতাকে পান্ধীতে লইয়া মামাবাড়ীতে পৌছাইয়া দিয়াছে। মামা ও মামী সত্য ঘটনা বলিলেন, এবং মহিষাল বন্ধু কমলার সহিত সাক্ষাতের পর, রাজকুমারের তঁাহাকে লইয়া যাওয়া পৰ্য্যন্ত সকল কথা সাশ্রনেত্ৰে বৰ্ণনা করিল। রাজকুমার বৃদ্ধ গোয়ালার বাড়ীতে যাইয়া কিরূপে কমলাকে দেখেন এবং রাজবাড়ীতে লইয়া আসিয়াছিলেন তাহার সাক্ষ্য দিলেন। প্ৰদৰ্শিত পত্রগুলি বিচার সভায় আলোচিত হওয়ার পর মন্ত্রীরা কারকুণকে ঘোর অত্যাচার ও মিথ্যাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করিলেন ; তঁাহারা পাপিষ্ঠকে শূলে দিতে বলিলেন, কিন্তু রাজা বলিলেন, “রক্ষাকালী পূজায় নরবলি মানত আছে। কারকুণের ন্যায় পাপিষ্ঠকে সেই দণ্ড দেওয়াই উচিত হইবে।” তখন নাগাড়া, কাড়া, ঢাক-ঢোল আবার বাজিয়া উঠিল এবং পুরোহিত দেবীপূজার মন্ত্র উচ্চৈঃস্বরে পড়িতে লাগিলেন ; মন্দির ও মণ্ডপ গৃহ ধূমাচ্ছন্ন হইল, সেই ধূমায় ঝাড় ফানুষ প্ৰভৃতির আলো প্ৰায় স্নান হইয়া গেল, কেবল পঞ্চ-প্ৰদীপের ক্ষীণ রশ্মি সেই ঘন অন্ধকার ভেদ করিয়া কারকুণের কত্তিত শোণিতাৰ্দ্ৰ মুণ্ডটি আভাসে দেখাইল ।