পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাকলাদারের কন্য S\O তখন ঢাক ঢোলের বাদ্যে আকাশ পরিব্যাপ্ত হইল, বন্দুকের আওয়াজে মেদিনী কম্পিত হইল । “তুবড়ি ছাড়িল যেন আগুনের গাছ পারা। হাউই ফানুষ ছুটে আসমানের তারা ॥” কুমার কমলাকে পাইয়া আনন্দিত হইলেন। ‘এই মতে বিয়া কাজ হৈয়া গেল শেষ । পুত্রসহ চাকলাদার গেল নিজ দেশ ॥” उIव्लbन्म এই গল্পের প্রধান চরিত্র কমলা । কমলা স্বভাবতঃ রহস্য-প্ৰিয়, শৈশব ও সুখ-কৈশোরে সে একটা আনন্দের পুতলের মত ছিল ; প্ৰথম অধ্যায়ে সে চিকন গোয়ালিনীকে লইয়া যে সকল রঙ্গরস ও কৌতুক করিয়াছে, তাহা আমি গল্প-ভাগে দেই নাই। সেই সকল বর্ণনা পড়িলে মনে হইবে। কমলা কতকটা তরল প্ৰকৃতির । পিতা-মাতার আদরিণী ও নানা সোহাগে লালিত-পালিতার স্বভাবের এই একটু চাপল্য স্বাভাবিক। কিন্তু দুঃখই মানুষের প্রকৃত উপাদান চিনাইয়া দেয় ; যখন বিপদের দিন আসিল, তখন এই চঞ্চল বিদ্যুৎপ্ৰভ মূৰ্ত্তি সূৰ্য্যের মত একটি স্থির জ্যোতিষ্কে পরিণত झ्छ्रेल । উপস্থিত-বুদ্ধি কমলার যথেষ্ট ছিল, কিন্তু কমলার বিপদ এমনই সাংঘাতিক যে, শত উদ্ভাবনী শক্তি সত্বেও সেই সকল বিপদ হইতে উত্তীর্ণ হওয়া তাহার পক্ষে সহজ ছিল না। তাহার চরিত্র ছিল দৃঢ় ন্যায়-অন্যায় বোধ এবং সততার উপর প্রতিষ্ঠিত। বৈষয়িকের সতর্কতা তাহার ততটা ছিল না,-থাকিলে সে কতকটা চাতুরী খেলিতে পারিত এবং