পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন-কথা l/o কলহ পরস্পরের প্রতি অনুরাগ বৃদ্ধি করিয়াছিল মাত্র, একদিনের জন্য র্তাহারা একে অন্যকে ছাড়িয়া থাকিতে পারিতেন না। মুন্সী মহাশয়ের বাড়ীতে যে দুর্গোৎসব হইত, তাহার প্রতিমার মত এত বড় মূৰ্ত্তি বঙ্গদেশের আর কোথাও হইত। কিনা, সন্দেহ। হিন্দু ও মুসলমান প্ৰজাদের মধ্যে কোন কোন দল নূপুর পায়ে দেবীর আঙ্গিনায় নাচিয়া গাইত—“আমরা দেইখা আইলাম গোকুল মুন্সীর বাড়ী। বাড়ীটা সাজাইছে যেন রাবণের পুরী ן" DDS DBBS BBDBS DBBS BDBBD DDDDS LSSSBBDBDBDBDBD BDS DDD ও খেমটা প্ৰভৃতি সঙ্গীত চর্চার সে অঞ্চলে যতগুলি দল ছিল, তাহারা মুন্সী মহাশয়ের বাড়ীতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে অন্যত্ৰ প্ৰতিষ্ঠা পাইত । ঈশ্বরচন্দ্ৰ অনেক সময় শ্বশুরালয়ে থাকিয়াও এই উৎসবে যোগ দিতেন না । তিনি স্বীয় কক্ষে অর্গল বন্ধ করিয়া ব্ৰহ্মোপাসনায় নিযুক্ত থাকিতেন, এবং এই সকল বৃথা বিলাস-উৎসব ও আমোদ-প্ৰমোদের প্রতি অবজ্ঞা দেখাইয়া প্ৰবন্ধ ও কবিতা লিখিতেন। দীনেশচন্দ্রের পূর্বে এগারটি ভগিনী হইয়াছিল ; শেষ কালে যখন পুত্ৰ লাভের আশা একরূপ তিরোহিত হইয়াছিল, তখন সহসা দীনেশচন্দ্ৰ তাহার আর একটি যমজ ভগিনীকে সঙ্গে লইয়া মাতুলালয়ের সূতিকাগৃহে আবিভূতি হইলেন। র্তাহার যখন সাত বৎসর বয়স তখন পিতা ঈশ্বরচন্দ্ৰ বহুমূত্ৰ-রোগাক্রান্ত হইয়া কয়েক বৎসরের জন্য দৃষ্টিহার্য হ’ন। এই সময়ে কতকটা আর্থিক কষ্ট উপস্থিত হয়। তথাপি জীবনের প্রথম দিকটায় দীনেশচন্দ্ৰ আতিশয় যত্নে ও বহু ব্যয়ে পালিত হন। তঁহার আদরের সীমা ছিল না। এতগুলি কন্যার মধ্যে একটি পুত্র, তাহার সেবার জন্য দুই তিনটি ভূত্য সর্বদা উপস্থিত থাকিত । তাহার সমস্ত আবদার ও অত্যাচার তাহাদিগকে অমান বদনে সহ্য করিতে হইত । দীনেশ বাবুর পিতামহ রঘুনাথ সেন তঁহাদের সুয়াপুরের বাগান-বাটীটি একটি দর্শনীয় স্থানের মত অতি যত্বে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। বোম্বাই, ফজলী,