পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Estesa রাজপুত্র ও ঘোপার মেয়ে এক ধোপার পরমাসুন্দরী কন্যা ছিল ; সেই অঞ্চলের রাজপুত্ৰ কন্যার অসামান্য রূপ দেখিয়া মুগ্ধ হইলেন। কাঞ্চনমালাও রাজপুত্রের রূপে-গুণে মুগ্ধ ; উভয়ে উভয়ের অনুরাগী। কাঞ্চন রাজকুমারের বঁাশী শুনিয়া ঘরে থাকিতে পারে না, বাহির হইয়া আসে-কিন্তু যখন রাজপুত্র তাহার আঁচল ধরিয়া টানেন, তখন কিছুতে ধরা দিতে চান না। র্তাহার গায়ের বর্ণ চাঁপা ফুলের মত, তাহার চক্ষু দুটি অপরাজিতার ন্যায় নীলকৃষ্ণ, মাথার চুল পৃষ্ঠদেশ হইতে নিবিড় মেঘের লহরীর মত নিয়ে লুটাইয়া পড়িয়াছে, রাজকুমার বলেন, “কাঞ্চন, আমি যে তোমার ঐ অপরাজিতা ফুলের ন্যায় দুটি চক্ষু দেখিয়া ভুলিয়াছি, আমি তোমার মাথার চুল দেখিয়া ভুলিয়াছি।” “আমি যে পাগল হৈছি দেখি মাথার চুল।” আমি তোমাকে বিবাহ করিব, তোমার সম্মতি পাইলে আমি রাজার नन्मडि निऊ 9iांद्भिद ।” কাঞ্চন কুমারের আবেদন নিবেদন শোনেন, র্তাহার। প্ৰাণ ফাটিয়া যায়, অথচ মুখে বলিতে পারেন না। কতদিন আঁধার রাতে বর্ষায় রাজকুমার ধোপার কুটিরের আঙ্গিনার এক কোণে দাড়াইয়া থাকেন, বর্ষার জলে র্তাহার সর্বাঙ্গ সিক্ত হয়-কাঞ্চন-রাজপুত্রের কেশ-বেশ মুছাইবার জন্য হাত বাড়াইয়া ফিরিয়া আসেন-কিত করিয়া কুমারকে বুঝান—“তুমি এত কষ্ট পাইও না, আমাকে কষ্ট দিও না । তোমার বঁাশীর সুরে আমার অন্য সমস্ত চিন্তা ডুবিয়া যায়-আমার মনে হয় চরাচর স্তব্ধ, কেবল বঁাশীই সত্য, বঁাশীর সুর আমার মৰ্ম্ম বিদ্ধ করে, আমাকে পাগল করে। “তুমি কি জান না। কুমার তুমি কে আর আমি কে ? আমি তোমায় কি বলিব ? আমার পিতা তোমাদের রাজবাড়ীর ধোপ-আমি ধোপার মেয়ে, তোমার সঙ্গে কি আমার মিলন সম্ভব ? আমার পক্ষে এরূপ আশা