পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Pepa SOy কাঞ্চন বুঝিলেন, রাজকুমারের এত মেহ এত অনুরাগ তিনি তাঁহাকে জীবনে ছাড়িবেন না, হয়ত কোন দূর দেশে যাইয়া তাহারা দাম্পত্য জীবন কাটাইবেন “স্বর্গের দেবতারা আমাদের এই একনিষ্ঠ পবিত্ৰ প্ৰণয়ের মূল্য বুঝিবেন।” कानाकानि ७ भछि ক্ৰমশঃ জানাজানি হইয়া গেল। রাজদরবারে এই ব্যাপার লইয়া কাণা ঘুষ হইতে লাগিল। রাজাকে এক মন্ত্রী সংবাদ দিলেন,-মহারাজ আপনি কি করিতেছেন ? আপনার বুড় ধুপীর কন্যা কাঞ্চন তাহার রূপ দিয়া রাজকুমারকে ভুলাইয়াছে। রাজকুমার এই কন্যার প্রতি আসক্ত হইয়াছেন, এ যেন চাদ ও রাহুর মিলন হইয়াছে, অধম কাপড় কঁচা ধুপির ঘরে রাজপুত্র যাতায়াত করেন, ইহা হইতে ঘৃণার বিষয় আর কি হইতে পারে ?” Ab এই কথা শুনিয়া রাজা আগুনের মত জ্বলিয়া উঠিলেন এবং তখনই ধোপাকে আনিতে লাঠিয়াল পাঠাইয়া দিলেন । কাঞ্চনের পিতার নাম গোদা, সে অতি বৃদ্ধ ; রাজার হুকুমে কঁাপিতে কঁাপিতে লাঠি ভর করিয়া দরবারে আসিয়া উপস্থিত হইল। দরবার গৃহে মস্ত বড় ফরাসি বিছানা পাতা, লোক লস্করে ঘর ভৰ্ত্তি, এমন সময় ধোপা হাত যোড় করিয়া সেই ঘরের এক কোণে দাড়াইয়া বলিল “হুজুর, একয়েক দিন ধরিয়া ক্রমাগত ঝড় তুফান ও বাদলা চলিতেছে, কাপড় শুকাইতে পারি নাই। এইজন্য এবার একটু দেরী হইয়া গিয়াছে।” রাজা রাগে। কঁাপিতে কঁাপিতে বলিলেন, “তোর এক কন্যার বিয়ের বয়স উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে, আমার ছেলে সেই কন্যার জন্য পাগল হইয়াছে, শুনিতে পাইলাম। আজ রাত্রির মধ্যে যদি তুই তাহার বিবাহ না দিস,