পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

zketa A)OG রুকিণী রাজকুমারী রুক্মিণী তঁহার এক পরিচারিকাকে বলিলেন, “এতদিন যাবৎ ধোপা কাপড় কাচিতেছে, কিন্তু এমন সুন্দর পাইট করা কাপড় কাচা তো। কখনও দেখি নাই ।” পরিচারিকা বলিল, “তা বুঝি জান না, কিছু দিন হইল এক নূতন ধোপা আসিয়াছে, সেই এখন কাপড় কাচে । “চাদের সমান রূপ দেখিতে সুন্দর। এই ধোপা হইবে কোন রাজার কুমার ॥” তার সঙ্গে একটি তরুণী মেয়ে আসিয়াছে, তাহার সে পাগল করা রূপ দেখিলে চোখ ফিরিতে চায় না। বর্ণ অতসী ফুলের মত ও মুখখানিতে কঁচা সোণার দীপ্তি, মাথায় একরাশ চুল যেন চামর। যে তাহাকে দেখে সেই চমৎকৃত হয়।” কুমারী রুক্মিণী ধোপানীকে ডাকিয়া পাঠাইলেন এবং তাহাকে বলিলেন, “হঠাৎ দৈবের কৃপায় নাকি তোমাদের আপনা হইতেই কন্যা জামাই মিলিয়া গিয়াছে। কন্যাটি নাকি বড় সুন্দরী, একবার তাকে আমার কাছে পাঠাইয়া দিও, আমি তার সাথে সই পাতাইব ।” কাঞ্চন এইভাবে রাজকন্যা রুক্মিণীর সখী হইল। সে অনেক সময় রাজ বাড়ীতে থাকে এবং অতি ঘনিষ্ঠ ভাবে রুক্মিণীর সঙ্গে কথা বাৰ্ত্তা বলে। উভয়ে উভয়কে শ্ৰীতির চক্ষে দেখে এবং একদিন না দেখিলে পরস্পরের জন্য উতলা হইয়া পড়ে। একদিন গুরু-গুরু মেঘ ডাকিতেছে ; দুপুর বেলা, কাঞ্চন রাজপুরীতে রুক্মিণীর কক্ষে বসিয়া তাহার চুল আঁচড়াইয়া দিতেছে ; বর্ষার নূতন জলে কাঞ্চনের মনে পুরাতন ব্যথা জাগিয়াছে। সে নিবিষ্ট হইয়া তাহার বাল্যজীবনের কথা ভাবিতেছে। এমন সময় রাজকুমারী তাহাকে জিজ্ঞাসা कब्रिgब्लन :- S8