পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qa SSS) “নদীর কিনারে দেখিলাম মহিষের বাথান। छफुांड °ख्रिश्या शब्रिं कांद्र खलाश्रांना ॥ १ांश्ांg oड कड शाई ख्छिाछेश। कऊ कङ पूद्रव्र cभं ज्ञांशेनांभ cश्श्वि ॥ কত কত নদী দেখিলাম তীরে ছুটে পানী। কত কত দেখিলাম সাধুর তরণী । কত কত রাজার মুলুক আইলাম দেখিয়া। গৃহিণীর কাছে কথা কয় বিস্তারিয়া ।” তারপর গাজি বলিল ৪-একখানে একটি মানুষ দেখিলাম, তাহার দুঃখে আমার প্রাণ গালিয়া গিয়াছে, তাহার কথা কিছুতেই ভুলিতে পারিব না ; লোকটী একজন বুড়ো ধোপা । সে সে-দেশের রাজার বাড়ীর কাপড় কাচে ; অদূরে রাজ-প্ৰাসাদ--তার এক পার্শ্বে সেই ধোপার কুঁড়ে ; সে জরাজীর্ণ, গায়ে কোন সামৰ্থ্যই নাই, চােখ দুইটি ঘোলা, খুব উচ্চস্বরে কথা না বলিলে সে কাণে শুনিতে পায় না ; গায়ে একটুকু বল নাই, একদিনের কােজ সাত দিনে করে। দেখিলাম, সে এক একবার কাপড় কাচিতেছে ও পুনঃ পুনঃ বসিয়া পড়িতেছে ও তাহার বুক বাহিয়া চােখের জল পড়িতেছে। তাহার সেই দুঃখ দেখিয়া আমার বড় কষ্ট হইল, আমি নৌকা হইতে নামিয়া গিয়া তাহার কি দুঃখ জিজ্ঞাসা করিলাম। সে আমার দয়ার্ড কণ্ঠের স্বর শুনিতে পাইয়া হাউ মাউ করিরা কঁাদিয়া উঠিল এবং বলিল-“ভগবান আমায় কেন বঁাচাইয়া রাখিয়াছেন জানি না, আমার মৃত্যুই মঙ্গল।” তাহার পরে বলিল, “আমার পুত্র বা অন্য সন্তান নাই, একটি কন্যা ছিল, সে কুলটা হইয়া বাড়ী ছাড়িয়া গিয়াছে, আমার কলঙ্কিত জীবনকে ঘৃণা করিয়া সমাজ আমাকে জাতিচু্যত করিয়াছে। মেয়েটি আমার চােখের মণি ছিল,-আমি কাণে শুনি না, চোখে দেখি না, আমার কেউ নাই, তবু সে আমাকে ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল ; তবুতো দিনরাত তাহার শোকে আমার প্রাণ হুহু করিয়া জ্বলে,” এই বলিয়া সে নদীর কুলে বসিয়া মা মা বলিয়া কঁাদিতে লাগিল, তাহার দুঃখ দেখিলে পাষাণও বুঝি বিগলিত হইত।”