পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S»SR বাংলার পুরনারী কাঞ্চন আর শুনিতে পারিল না, উচ্চৈস্বরে কঁাদিয়া গাজিকে বলিল“তুমি যাহাকে দেখিয়াছ সেই ধোপা আমার বাপ, আমিই তাহার কলঙ্কিনী কন্যা,-আমি তাহার বুকে বড় দাগ দিয়া ঘর ছাড়িয়া চলিয়া আসিয়াছি। তুমি আমার ধৰ্ম্মের বাপ, আমাকে আমার বাবার কাছে লইয়া যাও, আমার বুকে দিন রাত্রি তুষের আগুণ জ্বলিতেছে।” মিলন, শেষ দর্শন ও দেহত্যাগ বৃদ্ধ ধোপা, কন্যাকে বুকে জড়াইয়া ধরিয়া বলিল :-“তোকে আর কি বলিব, শিশুকাল হইতে কত যত্নে কলিজার হাড়ের মত করিয়া পালিয়াছি ; সেই কন্যা এত নিৰ্ম্মম হইলি, আমাদের ছাড়িয়া চলিয়া গেলি। তোর শোক তোর মাতা সহ্যু করিতে পারিল না, ঐ খোরাই নদীর শ্মশান ঘাটে সে চিরতরে শয়ন করিয়া আছে।” 强 “এই ঘাটে কাপড় ধুই চক্ষে বহে পানী। কন্যা হইয়া হইলা তুমি নিদয়া পাষাণী ৷” কাঞ্চন পিতার বুকে মুখ লইয়া কঁাদিয়া তাহার দুঃখের কাহিন শুনাইল, কন্যার হৃদয়ের ব্যথা পিতার মন বিদীর্ণ করিল। রাজার বাড়ী সংবাদ কাঞ্চন পিতার মুখেই শুনিতে পাইল। রাজপুত্র এক রাজ-কন্য বিবাহ করিয়া পরম সুখে জীবন যাপন করিতেছে। বিবাহ করিয়া .ে সুখী হইয়াছে, একদিনও কাঞ্চনের কথা মনে করে না। কাঞ্চনের মস্তকে যেন বাজ ভাঙ্গিয়া পড়িল । বৃদ্ধ ধোপা, তাহা দুঃখ বুঝিতে পারিল এবং অতিশয় দুঃখাৰ্ত্ত স্বরে বলিল :- “বড়র সঙ্গে ছোটর প্রীতি হয় অঘটন। উচা গাছে উঠলে যেমন পড়িয়া মরণ ॥