পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bert Sì SeSRy “পুষ্পবন অন্ধকার তুমি চলে গেলে ।” তোমার গাথা মালা হাতে লইয়া যে আমি সারাদিন কঁাদিয়া কাটাই, তাহা তুমি জান না। আমার মাতা পিতা নাই, মামার বাড়ীতে থাকি। যদি তোমার সদয় উত্তর পাই, তবেই আমি এ অঞ্চলে থাকিব, নতুবা চিরকালের জন্য তোমার নিকট বিদায় লইয়া দূরদেশে চলিয়া যাইব ।” পরদিন প্ৰাতে মেঘের উপর তরুণ সূৰ্য্যের ঝিকিমিকি খেলিতেছে। অরুণ ঠাকুরের গায়ে হলুদ-মাখান রংয়ের মত আজ তাহাকে দেখাইতেছে। চন্দ্রার শয্যা হইতে উঠিতে একটু দেরী হইয়া গিয়াছে, সে তাড়াতাড়ি ফুলের বাগানে আসিয়া সর্বপ্রথম কতকগুলি জব্বা ও অপরাপর ফুল তুলিল, সেগুলি তাহার পিতার শিব-পূজার জন্য ; তারপর একটি মালতি ফুলের মালা গাঁথিয়া শেষ করিয়াছে, এমন সময় জয়চন্দ্ৰ আসিয়া তাহার হাতে পুষ্প-পত্রে লেখা চিঠিখানি দিল ; জয়চন্দ্ৰ বলিল “চন্দ্ৰা একটু অপেক্ষা কর, আমার দুটি কথা বলিবার আছে,” কিন্তু বালিকা বলিল, “আজ বেলা হইয়া গিয়াছে,-পিতার শিব-পুজার দেরী হইয়া যাইবে, আজ আমি ঘরে যাই।” এই বলিয়া সে জয়চন্দ্রের লেখা চিঠিখানি নিজের আঁচলে: কোণে বাধিয়া লইয়া চলিয়া 66 ।। “পুস্প পত্রে বঁাধি কন্যা আপন অঞ্চলে। cgदद्म भगिद्ध कgl cक्षांश् १चांचवा | সম্মুখে রাখিল কন্যা দেবের আসন। घविशां नईल कछु श्रांथी 5नन ॥” তারপর শিব পূজার ফুল পুষ্পপাতে রাখিয়া দিল। বংশীদাস পূজা করিতে আসিয়া আসনে বসিলেন। তঁহার দেহ স্থির, আকম্পিত, মন ঐকাগ্ৰ। র্তাহার মনের প্রধান কামনা তিনি দেবতার নিকট নিবেদন করিলেন। একাগ্ৰচিত্তে শিবের কাছে তঁহার অভীষ্ট বর প্রার্থনা করিলেন। প্ৰথম পুষ্পটি অর্পণ করার সময় প্ৰাণ-মনে জানাইলেন, “আমি নিঃসহায় সঙ্গতিশূন্য ব্ৰাহ্মণ, আমি কেমন করিয়া কন্যাটির বিবাহ দিব ?” SV)