পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S&bro বাংলার পুরনারী করিয়া চন্দ্ৰা জুলিয়া পুড়িয়া মরিতে লাগিল। কিন্তু বংশীদাস চন্দ্রার মনের দুঃখের কথা বুঝিলেন, যে সকল কথা সে সহচরীদের কাছে গোপন করিল, কন্যার মুখের কথায় ব্যক্ত না হইলেও পিতা তাহার সবই বুঝিলেন। এ ব্যাপারে কন্যার কি দোষ ? বরং তাহার প্রতি সকলেরই করুণা হইল ; বংশীদাস নিজে মহাপণ্ডিত ছিলেন। নিজে চন্দ্ৰাকে শাস্ত্র পড়াইয়াছিলেন। এরূপ রূপসী ও গুণবতী কন্যাকে বিবাহ করিতে অনেকেই প্ৰস্তুত হইল। বিবাহের প্রস্তাব নানাস্থান হইতে আসিতে লাগিল । বংশীদাস সেই সকল প্ৰস্তাব বিচার করিতে লাগিলেন, কিন্তু চন্দ্ৰা दब्लिब्न :- '-निऊ cभांद्र दांकg १ङ्ग । জন্মে না করিব বিয়া হৈব আইবির ॥ শিব পূজা করি আমি শিবপদে মতি। দুঃখিনীর কথা রাখ, কর অনুমতি ॥” যে শিব জগতের হলাহল পান করিয়া নীলকণ্ঠ হইয়াছিলেন, যিনি চিরভিখারী ;-সুখের প্রতি বীতস্পৃহ, শ্মশানবাসী, সেই শিবকে পূজা করিয়া চন্দ্ৰ উৰ্দ্ধলোকে উঠিয়া দুঃখের অতীত হইবেন। বংশীদাস মহাজ্ঞানী, ধাৰ্ম্মিক ও সংযমী ছিলেন, তিনি অন্য কোন পিতার ন্যায় কন্যাকে সংসারে আসক্ত হইতে উপদেশ দিলেন না। তিনি কন্যাকে আজীবন কুমারী ব্ৰত অবলম্বন করিয়া থাকিবার অনুমতি দিয়া বলিলেন, “শিবপূজা কর, আর লিখা রামায়ণে।” পিতার আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়া তিনি শিব আরাধনায় নিযুক্ত হইলেন। ফুলেশ্বরী নদীর তীরে চন্দ্রাবতীর শিবের মঠ। বহুদিন বিদ্যমান ছিল,- তাহার করুণ রামায়ণী গীতি এখনও নয়ন জলে সিক্ত হইয়া ময়মনসিংহের মেয়েরা বিবাহোপলক্ষে গান করিয়া থাকে। সেই রামায়ণের কতকাংশ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্ৰকাশ করিয়াছেন । ফুলেশ্বরী নদীর তীরে চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির উখিত হইল। পিতার আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়া চন্দ্ৰ দিনরাত্রি শিব আরাধনায় ব্যাপৃত থাকেন।