পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্ৰাবতী \9\9 অনেকক্ষণ পরে চন্দ্রার সমাধি ভঙ্গ হইল। তিনি বাহির হইলেন, দরজায় জয়চন্দ্রের হাতের লেখার উপর তঁহার দৃষ্টি পড়িল, তখন চোখের জল মুছিতে মুছিতে কলসী কঁাখে লইয়া নদী হইতে জল আনিতে গেলেন। সহসা দেখিলেন, নদী-তরঙ্গ উজানের দিকে বহিতেছে, সেখানে জনমানব নাই :- “একেলা জলের ঘাটে সঙ্গে নাই কেহ । उgलब्र ठ°1gद्ध उांgन स्त्रग्रbअब्र cनश् ॥ দেখিতে সুন্দর কুমার চাদের সমান। ঢেউএর উপরে ভাসে পৌর্ণ মাসী চাদ ॥ আঁখিতে পলক নাই ! মুখে নাই বাণী । পারেতে দাড়াইয়া দেখে উন্মত্তা কামিনী ॥” श्रुठJ ७ ऊ८व्व् এইখানে কবি নয়নৰ্চাদ চিত্রপটের উপর যবনিকা পাত করিয়াছেন । কিন্তু আমরা জানি, এই দুর্ঘটনার পর চন্দ্ৰা আর বেশী দিন জীবিত ছিলেন না। পিতার আদেশে রচিত রামায়ণখানি অসমাপ্ত রাখিয়া ফলেশ্বরী নদীর তীরের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুলটি অকালে ঝরিয়া পড়িয়াছিল। শ্ৰীযুক্ত অবনীন্দ্ৰ নাথ ঠাকুর প্রভৃতি কোন কোন সুধীসমালোচকের মতে “চন্দ্রাবতী” পল্লী-সংগীতগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠ আসনের যোগ্য। এই গানটীর একটী বৈশিষ্ট্য আছে। ইহাতে হিন্দুর আধ্যাত্মিকত্ব আছে। পল্লী-আখ্যায়িকাগুলির অপর কোনটিতে তাহা নাই,-তাহাদের সকলগুলিতে প্রেম ও অপরাপর প্রসঙ্গে নিছক বাস্তবতা দৃষ্ট হয়, সেই প্ৰেম খুব উচ্চ গ্রামে উঠিয়া স্থানে স্থানে আদর্শ:-লোকে পৌছিয়াছে সত্য, কিন্তু হিন্দুর জপ, তপ, নাম-কীৰ্ত্তন প্ৰভৃতির লেশ তাহাতে নাই। যোগের সমাধি এবং